দেশের সময় : হাবড়া, পরিবারের অমতে বিয়ে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা নব দম্পতি পুলিশের দারস্থ হলেন। থানার আধিকারিককে সমস্ত ঘটনা জানানোর পর অবশেষে পুলিশের সহযোগিতায় নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছালেন নব দম্পতি। হাবড়া থানা এলাকার ঘটনা।
জানা গেছে, হাবড়া থানার পৃথিবা পঞ্চায়েতের উদয়নপল্লী এলাকার বাসিন্দা, পেশায় স্কুল শিক্ষক মিঠুন আইচের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ওই এলাকারই যুবতী রিনিতা পালের। সপ্তম শ্রেণী থেকে তাঁকে পড়াতেন মিঠুন। আর তখন থেকেই তাঁদের মধ্যে এই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রিনিতা এখন কলেজ ছাত্রী। যদিও তাঁদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারে নি দুই পরিবারের লোকেরাই। এই পরিস্থিতিতে গত বছর নভেম্বর মাসে কাউকে না জানিয়ে তাঁরা রেজিষ্ট্রি বিয়ে করেন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার তাঁরা একটি মন্দিরে গিয়ে হিন্দু শাস্ত্র মতে বিয়ে করেন। সেই বিয়ের কথা দুই পরিবারকে জানানো হয়। মিঠুনের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিলেও রিনিতার পরিবার মেনে নিতে পারে নি বলে অভিযোগ রিনিতার। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন তাঁরা। অবশেষে সোমবার রাতে নব দম্পতি হাবড়া থানায় হাজির হয়ে পুলিশের সাহায্য চান। সমস্ত ঘটনা শুনে পুলিশ দুই পরিবারের সদস্যদের ডেকে জানিয়ে দেয়, পাত্রপাত্রী দুজনই সাবালক। ফলে এই বিয়েতে আইনি কোনও সমস্যা নেই। যদিও এরপরেও এই বিয়ে মেনে নিতে পারে নি রিনিতার পরিবার।
অবশেষে নব দম্পতিকে পুলিশ বারাসতে তাঁদের এক পরিচিতের বাড়িতে নিরাপদে পৌঁছে দেয়। পুলিশের ভূমিকায় খুশি নব দম্পতি।