পুলিস সূত্রে খবর, দেবাঞ্জনের পরিবারের দায়ের করা এফআইআর–এ প্রিন্সের সঙ্গে বিশালের নামও ছিল। মহানবমীর রাতে খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিল বিশাল। প্রাথমিক জেরায় তার বক্তব্যে বহু অসঙ্গতি মিলেছে। পলাতক প্রিন্সের ব্যাপারে সন্ধান মিলতে পারে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জেনেছে, দমদম থানা এলাকার বাসিন্দা বিশাল দীর্ঘ দিনই পড়াশোনার পাট চুকিয়ে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মেলামেশা করত। তবে এখনও পুলিসের খাতায় বিশালের নামে কোনও রেকর্ড নেই। এমনটাই জানালেন ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের জোন–২–র ডেপুটি কমিশনার আনন্দ রায়।
দেবাঞ্জনের বান্ধবীকে জেরা করে পুলিস জেনেছে, ঘটনার রাতে একাধিক পাবের পার্টিতে গিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। পার্টিতে আসা সবাই নিজেদের বন্ধু বা বান্ধবীকে নিয়েই এসেছিলেন। যুবতীর দাবি, গভীর রাতে পার্টি শেষে যখন গাড়ি করে তাঁকে বাড়িতে পৌঁছতে যাচ্ছিলেন দেবাঞ্জন তখনই তাঁর মোবাইলে এক বন্ধুর ফোন আসে যিনি দেবাঞ্জনের চেয়ে সিনিয়র।
ওই পার্টিতেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে দেবাঞ্জন ছাড়া তাঁরা কেউই ওই সিনিয়রকে চিনতেন না বলে দাবি করেছেন যুবতী। যুবতীর আরও দাবি, কোনও যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে অন্য কোনও যুবককে মারধরে হাত লাগানোর জন্য দেবাঞ্জনকে ফোনে ডেকেছিলেন তাঁর সিনিয়র।
সেকারণে সেই রাতের পার্টিতে উপস্থিত ১৭ জন যুবক–যুবতীকেই জেরার জন্য নিমতা থানায় ডেকে পাঠিয়েছে পুলিস। যে গাড়িতে দেবাঞ্জন বাড়ি ফিরছিলেন সেই গাড়ির ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করা হবে।