দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আশ্রমের মাঠের বদলে এবার বসন্তোৎসব হবে পৌষমেলার মাঠে। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিশ্বভারতী ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের ম্যারাথন বৈঠক শেষে একথা জানান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বৈঠকে স্থির হয়েছে, বসন্তোৎসব হবে দোলের দিনেই।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, “রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে আমরা দোলের দিন বসন্ত উৎসবের আয়োজন করব। তবে এবার বসন্ত উৎসব হবে পৌষমেলার মাঠে।”
জানা গেছে, সুষ্ঠু ভাবে উৎসবের আয়োজনের কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরিসর আশ্রম প্রাঙ্গণের বদল করে পৌষমেলার মাঠে বসন্ত উৎসব করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আলোচনার পরে সেই প্রস্তাবই চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে বিশ্বভারতী ও প্রশাসন সূত্রে।
এর আগে জানানো হয়েছিল, দোলের একমাস আগে বসন্তোৎসব সেরে ফেলা হবে শান্তিনিকেতনে। গত মাসে জানানো হয়েছিল, এই বছর বসন্ত উৎসবে কেবলমাত্র বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাই যোগ দিতে পারবেন। তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে উৎসব। বাইরের কেউ আর শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে পারবেন না। সেই সঙ্গে উৎসবের দিনও বদলে গেল।
দোল ১০ মার্চ। আর বসন্ত উৎসব হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। অনেক আগেই অবশ্য অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এই বিষয়টা জানিয়েছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বলেছিলেন, দোল পূর্ণিমার দিনে নয়, তার আগে বা পরের কোনও পূর্ণিমার দিন হবে এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব।
প্রতি বছরই বসন্ত উৎসবকে ঘিরে কিছু না কিছু বিশৃঙ্খলা ঘটে। গত বছরেও বসন্তোৎসবে ভিড়ের চাপে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্বভারতী। এই সব কারণেই বসন্ত উৎসবকে একেবারে বিশ্বভারতীর নিজস্ব অনুষ্ঠানে পরিণত করার কথা ভাবনায় আসে। সেই সঙ্গে দোলের উৎসব থেকে বসন্ত উৎসবকে আলাদা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এখন অবশ্য স্থির হয়েছে যে দোলের দিনেই হবে বসন্তোৎসব।