সুপ্রকাশ চক্রবর্তী , কলকাতা : রাসায়নিক ও সিন্থেটিক রঙের ব্যাবহারের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হতে পারে আমাদের ত্বক চুল ও চোখের। তাই দোলের আগে কিভাবে ত্বকের পরিচর্চা করবেন সে ব্যাপারে পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর শতরুপা মন্ডল। দোলের আগে কলকাতায় এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, আবির ও রঙের মধ্যে লেড অক্সাইড, কপার সালফেট বা পারদের মতো মারাত্মক ক্ষতিকারক যৌগ থাকে। যা ত্বক, চুল ও চোখের ক্ষতি করতে পারে৷ তাই রঙ মাখার সময় আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে দোল খেলার চার পাঁচদিনের মধ্যে কোনো ফেসিয়াল বা লেজার ট্রিটমেন্ট এড়িয়ে যেতে হবে। রঙ খেলার এক ঘণ্টা আগে মশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে যাতে রঙ চামড়ার ভীতরে ঢুকতে না পারে এবং সহজে ধোয়া যায় এবং অন্তত আধ ঘন্টা আগে ন্যুনতম এস পি এফ ৩০ বা তার উপরের সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন মুখে এমনকি ঘাড়ে ও হাতে পায়ের খোলা যায়গায় লাগাতে হবে সুর্য রশ্মী থেকে ত্বককে রক্ষা করতে।

ময়েশ্চারাইজার হিসাবে বিশুদ্ধ নারকেল তেলও লাগানো যায়। চুলের ক্ষেত্রেও চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত নারকেল তেল লাগিয়ে নেওয়া ভালো।

চুলে যদি বিনুনি বা খোঁপা করে নিতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কেমিক্যাল বা রংয়ের এক্সপোজার অনেক কম হয়। তার ফলে রঙ ধোয়ার সময় চুলের জট পাকিয়ে চুল পড়ার সম্ভবনা কমে যায়।

চোখ কে বাঁচাতে সানগ্লাস খুবই উপযোগী।
রঙ খেলার আগে থেকে বেশি করে জল খাওয়া ভালো তার ফলে ডিহাইড্রেসান হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
রঙ খেলার পর বেশি দেরি না করে ঈষৎ উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়া দরকার।

ক্ষার জাতীয় সাবান ব্যাবহার না করে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যাবহার করাই ভালো।

চামড়ার ক্ষেত্রে সাবান বা জালি দিয়ে না ঘসে বডি ওয়াশ বা মাইল্ড শোপ ব্যাবহার করা ভালো। পরিষ্কার হওয়ার পর গা মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে৷ এর পরেও যদি চামড়ায় কোনো সমস্যা দেখা দেয় নিজে থেকে কোনো কিছু না করে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া দরকার।