দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশে খেলনা উৎপাদন বাড়াতে হবে। শিশুদের বিকাশের জন্য খেলনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এবার খেলনা তৈরিতেও ভারতকে আত্মনির্ভর হতে হবে। রবিবার ৬৮ তম মন কি বাত অনুষ্ঠান থেকে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “বিশ্বের নিরিখে ভারতে খুবই কম খেলনা উৎপাদন হয়। গোটা বিশ্বে ৭ লাখ কোটি টাকার খেলনা উৎপাদন হয়। আর তাতে ভারতের অংশ খুবই কম। এতটা কম উৎপাদন ঠিক নয়। আমাদের এটা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।” এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও শিশুদের জন্য খেলনার গুরুত্বের কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দেশে চতুর্থ দফার আনলক পর্ব। তার আগে এদিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময়টা উৎসবের। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি সব কিছু বদলে দিয়েছে। এখন মানুষ খুব বেশি সতর্ক। এটা খুবই প্রেরণাদায়ক।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের অনেক উৎসব প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত। পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে যুক্ত। গোটা পৃথিবীতেই এখন ওনম উৎসব পালিত হচ্ছে। এটা এখন আন্তর্জাতিক পরব। এই উৎসবের সঙ্গে কৃষির গভীর সম্পর্ক রয়েছে।”

এর পরে পরেই খেলনা উৎপাদন প্রসঙ্গে চলে যান নরেন্দ্র মোদী। তিনি দেশের বিভিন্ন স্টার্ট আপ সংস্থাকেও খেলনা উৎপাদনের মাধ্যমে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ হওয়ার ডাক দেন। একই সঙ্গে বলেন, “কম্পিউটার গেমও এখন খুব জনপ্রিয়। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই খেলেন। কিন্তু এই সব খেলা গুলি পশ্চিমী ভাবনায় তৈরি। আমাদের ভারতীয় কম্পিউটার গেম বানাতে হবে। এক্ষেত্রেও আমাদের আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে হবে।” এই সংক্রান্ত ভারতীয় অ্যাপ ‘Koo’ এবং ‘Chingari ইদানীং খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে বলেও এদিন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ভারতের মতো করে ভারতেই তৈরি করতে হবে খেলনা।

শুধু খেলা আর খেলনা নয়, একই সঙ্গে শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দরকার বলেও এদিন তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাসটা ‘নিউট্রিশন মানথ’ হিসেবে পালন করা দরকার। তিনি বলেন, শৈশবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
