
দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ প্রথম থেকেই তাঁরা যুদ্ধের সামনের সারিতে। এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল, কোভিডের সর্বোচ্চ ঝুঁকি সামলাচ্ছেন তাঁরাই। মানুষের প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে বাজি রেখেছেন নিজেদের নিরাপত্তা। তাঁরা চিকিৎসক নার্স এবং সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু এই কোভিড যুদ্ধে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) পক্ষ থেকে এক বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়েছে, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে প্রাণ দিয়েছেন ৬২৪ জন চিকিৎসক।

কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে সংক্রমণের মুখে সরাসরি পড়েছিলেন চিকিৎসকরা। দেশের নানা প্রান্ত থেকে অভিযোগ এসেছিল, তাঁদের পর্যাপ্ত পিপিই-ও নেই। নেই কোনও সুরক্ষা নীতি। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশই ভ্যাকসিন পেয়েছেন। নিরাপত্তা সরঞ্জামের জোগানও বেড়েছে। তা সত্ত্বেও সংক্রমণের বাড়াবাড়ির মুখে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা।


প্রসঙ্গত, গত বছর করোনার প্রথম ধাক্কার সময়ে গোটা দেশে ৭৪৮ জন চিকিৎসক মারা গিয়েছিলেন বলেই জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ফলে সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ১৪০০ ছুঁইছুই।

করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে চিকিৎসকরা সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন দিল্লি, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল সুদীর্ঘ ছিল এই তিন রাজ্যে। শুধু দিল্লিতেই ১০৯ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। তার ঠিক পরেই রয়েছে বিহার। যেখানে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিয়েছে ৯৬ জন চিকিৎসককে। আর উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৭৯। পশ্চিমবঙ্গের পরিসংখ্যানও খুব স্বস্তিদায়ক নয়, ৩০ জন চিকিৎসক মারা গেছেন এ রাজ্যে।

দেশে এখনও দৈনিক করোনা আক্রান্ত এক লক্ষের উপর। দৈনিক মৃত্যু প্রায় হাজার তিনেক। ফলে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও,সংখ্যার নিরিখে তা কম নয় মোটেও। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের লড়াইও যে বেশ কঠিন, তা বলাই বাহুল্য।

