ভারতের আগ্রাসী মনোভাব দেখে এর মধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিকাংশ মাদ্রাসা আগামী ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক হাজার মাদ্রাসায় ১০ দিনের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলিতে জঙ্গি তালিম দেওয়া হয় বলে ভারতের বিশ্বাস। সেকথা আঁচ করতে পেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক কর্তৃপক্ষ।
নিয়ন্ত্রণরখায় (এলওসি) গুলির লড়াই বদলে যেতে পারে পুরোদস্তুর যুদ্ধে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে এমনটাই আশঙ্কা করছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ চৌধরি আনোয়ার-উল হকের সরকার। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুতের নির্দেশ দিয়েছে মুজফ্ফরাবাদ।


ভারতের প্রতি-আক্রমণের ভয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনতাকে নিদেনপক্ষে দুমাসের খাদ্য মজুত করে রাখার পরামর্শ দিল সেখানকার প্রশাসন। শুক্রবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বকলমা প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি আনোয়ারুল হক স্থানীয় বিধানসভায় জানান, নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্র এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অন্তত ২ মাসের মতো অত্যাবশ্যকীয় রসদ মজুত করতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন।

হকের বিবৃতি উদ্ধৃত করে আরব নিউজ জানিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রশাসন ১০০ কোটি টাকার একটি জরুরি তহবিল গঠন করেছে। এই টাকা খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রীর সরবরাহ সুষ্ঠু রাখতে খরচ করা হবে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যুদ্ধের ভয়ে পাকিস্তান এয়ারলাইন্স পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

অতীতে দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পাক ফৌজ সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের সময় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল বা হালকা মেশিনগান ব্যবহার করলেও পরবর্তী পর্যায়ে মাঝারি ও ভারী মেশিনগান, মর্টার এমনকি, কামানের গোলা ছোড়ে। সামরিক পরিভাষায় এই কৌশলের নম ‘ক্যালিবার কনভার্সন’। একই কৌশলে জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। এর ফলে সাধারণ নাগরিকদের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ভারতীয় সেনার তরফে তেমন পদক্ষেপের আশঙ্কাতেই এলওসি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে, ভারতের আগ্রাসী মনোভাব দেখে এর মধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিকাংশ মাদ্রাসা আগামী ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক হাজার মাদ্রাসায় ১০ দিনের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলিতে জঙ্গি তালিম দেওয়া হয় বলে ভারতের বিশ্বাস। সেকথা আঁচ করতে পেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক কর্তৃপক্ষ।
