দিল্লিতে ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, কাঁপল নয়ডা-গুরুগ্রামও

0
429

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যেই একাধিকবার ভূমিকম্প হয় দিল্লি ও আশপাশের এলাকায়। এদিন ফের। রাত ৯টা ৮ মিনিট নাগাদ বেশ কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, রিখটর স্কেল কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। এপিসেন্টার ছিল হরিয়ানার রোহতক।

এদিন কম্পন অনুভূত হতেই বহু এলাকায় মানুষ ঘরে ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষিতর খবর নেই।

উল্লেখ্যে, এর আগে লকডাউনের মধ্যেই গত ১২ এপ্রিলও দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়। সেবার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩.৪। এর পরের দিন আরও একবার কম্পন অনুভূত হয়। সেবার কম্পনের মাত্রা ২.৭। চলতি মাসের শুরুতেও ফের একবার কেঁপে ওঠে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। ৩ মে হওয়া সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৪। যার এপিসেন্টার ছিল ওয়াজিপুর এলাকা। সব মিলিয়ে কম্পন-আতঙ্ক দিল্লিবাসীর মধ্যে।

বারবার এই মৃদু কম্পন বড় কোনও দুর্যোগের পূর্বাভাস কিনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। এমনিতেই করোনা সংক্রমণ নিয়ে জর্জরিত দিল্লি। তার মধ্যে নতুন আতঙ্ক তৈরি করছে ভূমিকম্প।

সিসমোলজির জাতীয় কেন্দ্র, NCS সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ৯টা বেজে ৮ মিনিটে ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনের উত্‍‌সস্থল ছিল দিল্লি থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে, হরিয়ানার রোহতকে।এন সিএস জানাচ্ছে, রিখটার স্কেলে এদিনের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৬।

অন্য দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিয়োলজিক্যাল সার্ভে সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৫।

সূত্রের খবর, দিল্লি ছাড়াও নয়ডা এবং গুরুগাঁওয়ে কম্পনের তীব্রতা ভালোই মালুম হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি। প্রাণহানিরও খবর নেই।

দিন কয়েক আগেই গত ১৫ মে দিল্লিতে ২.২ কম্পাঙ্কের মৃদু একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। কম্পনের উত্‍‌সস্থল ছিল উত্তর দিল্লির পিতমপুরা। তার আগে ১০ মে ৩.৪ মাত্রার আরও একটি মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প হয় দিল্লিতে। তার উত্‍‌সস্থল ছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লির ওয়াজিরপুর। ওই একই অঞ্চল ও তার আশপাশে ১২ ও ১৩ এপ্রিল যথাক্রমে ৩.৫ ও ২.৭ মাত্রার আরও দু’টি ভূমিকম্প হয়েছিল।

পাঁচটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দিল্লি চতুর্থ সর্বোচ্চ অঞ্চলের অধীনে পড়ে। যে কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। তবে, দিল্লি নিজে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল, এটা বিরল ঘটনা। উচ্চ-ভূমিকম্প অঞ্চল হিসাবে পরিচিত মধ্য এশিয়া বা হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানলে, তার প্রভাবে দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়।

চার দিন আগেই (২৫ মে) উত্তরপূর্ব ভারতের মণিপুরে মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে পিঠোপিঠি দু’টি ভূমিকম্প হয়। প্রথমটির তীব্রতা জোরালোই ছিল, রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার কম্পন ধরা পড়ে। মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল ভূমিকম্পের উত্‍‌সস্থল। দ্বিতীয় কম্পন ছিল একদমই মৃদু। সিসমোলজির জাতীয় কেন্দ্রের রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ২.৬। উত্‍‌সস্থল ছিল একই শহরে, তবে ২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে।

দিল্লি লাগোয়া অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত জোরালো দু’টি ভূমিকম্পের একটি হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ১০ অক্টোবর, বুলন্দশহরে। যার তীব্রতা ছিল ৬.৭। অপরটি ছিল মোরাদাবাদে, ১৯৬৬ সালের ১৫ অগস্ট। রিখটারে তীব্রতা ধরা পড়ে ৫.৮। এই দু’টি অঞ্চলই পড়ে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে

Previous articleবিকেলের ঘোষণায় সংশোধন, আপাতত ৭০ শতাংশ রাজ্য সরকারি কর্মচারি কাজ করবেন টুইট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleপিটিএস, গড়ফার পর এ বার সল্টলেকে ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের সদর দফতরে ফের বিক্ষোভ কলকাতা পুলিশে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here