দেশেরসময় ওয়েব ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ছ’বছর আগে। ২০১৩ সালের ১৩ জুন। ছ’বছর পর ফের মমতার বাড়িতে শনিবার দেখা গেল তৃনমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষকে। এমন একটা সময়, যখন লোকসভা ভোটে তৃণমূল বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে।
প্রথমে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন কুণাল। তারপর সেখান থেকে যান কালীঘাটের বাড়িতে। ফের কালীঘাট থেকে অভিষেকের বাড়িতে আসেন তিনি। ফলে সাংবাদিকদের নজর এড়ায়নি। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোষ-ত্রুটি যা-ই থাকুক না কেন কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অরূপকে বলছেন, তুই তো ফেল করেছিস, গৌতম দেবকে বকছেন। কিন্তু সবাই এক সঙ্গে রাখার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় কুনালের যাওয়াটাও অনেকে সেই প্রেক্ষাপটেই দেখতে চাইছেন।
এ ব্যাপারে কুণালকে প্রশ্ন করা হলে কুণাল বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। অভিষেকের সঙ্গেও দেখা হয়েছে। আমি পরিবর্তনের আন্দোলনের পুরনো দিনের সৈনিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলনেত্রী। অভিষেক যুব সভাপতি। তাঁদের সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। তবে কী কথা হয়েছে সেটা বাইরে বলব না। একেবারেই দলের ব্যাপার।”
এর মধ্যে চিটফান্ড কাণ্ডে রাজীব কুমার ও অর্ণব ঘোষের মতো পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক তোপ দেগে চলেছেন কুণাল। নিয়ম করে চলছে ফেসবুক লাইভও। পুলিশের হাতে নির্যাতিত মানুষদের সহযোগিতার জন্য নবজাগরণ নামে নতুন মঞ্চও গড়েছেন। দু’দিন আগেই বারাসত আদালতের বারান্দায় বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তর পাশে দাঁড়িয়ে কুনাল বলেছিলেন, “২০১১ সালে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, ২০১৯-এ বদলে গিয়েছেন। আর মমতাদির এই বদলে যাওয়াটাই রাজ্যে নতুন করে পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করে দিচ্ছে।” আবার সে দিনের ছবির সাথে আজকের ছবি মিলছেনা বলে গুঞ্জন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে৷