দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকা আকাশ, সঙ্গে মেঘ। তাই অম্তত সকাল নটা পর্যন্ত গ্রহণ দেখা গেল মেঘ-কুয়াশার আস্তরণের মাঝখান দিয়ে। খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে তেমন উন্মাদনা দেখা যায় না, তবে এখনও সকাল বেলা গ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেজে ওঠে শাঁখ, অনেকেই গ্রহণের সময় কোনও রকম খাবার খান না। এ দিনও ব্যতিক্রম হয়নি।
সাধরণত খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা যায় না সূর্যের তেজের জন্যই।
এদিন গ্রহণ দেখা যায় কলকাতা-সহ গোটা ভারতে। দক্ষিণের রাজ্য, কেরল ও তামিলনাড়ুর আকাশে সবচেয়ে বেশি ঢাকা পড়েছিল সূর্য, প্রায় ৯৩ শতাংশ। অবশ্য মধ্য ভারত, পশ্চিম ভারত ও পূর্ব ভারতে সূর্যের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ঢেকে যাওয়া অংশ দেখা গেছে। কলকাতা থেকেও তাই।
সকালেই ৮টা ২৭মিনিট থেকে শুরু হয়েছে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ। চলে বেলা ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হবে গ্রহণ। তারপরেই ছাড়তে শুরু করবে।
একমাত্র অমাবস্যা তিথিই সূর্যগ্রহণ হয়।
এ দিন ভারতের একাধিক শহরের মানুষই হয় গ্রহণ দেখতেই পাননি, না হয় মেঘ-কুয়াশার ফাঁক দিয়ে দেখেছেন। যেমন ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত শহর বনগাঁর আকাশ থেকে গ্রহণ সামান্য দেখা যায় এদিন৷
তবে সকলেই হতাশ হয়েছেন এমন নয়, ভারতের বাইরে দুবাই থেকে দেখা গেছে অগ্নিবলয়, আবার কোথাও মেঘ না থাকায় খালি চোখে তাকানোই যায়নি সূর্যের দিকে।
যাঁরা এখনও সংস্কারমুক্ত হতে পারেননি তাঁরা গ্রহণের পরে নদীতে স্নান করেন, গ্রহণের সময় কোনও রান্না করেন না, খাওয়াদাওয়া করেন না। রান্নাকরা খাবার তুলসিপাতায় ঢেকে রাখেন।