ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে গালে সপাটে চড়, অভিযোগ রুদ্রনীলের

0
668

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে উত্তাল ভবানীপুর। অভিযোগ, এদিন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষকে ‘চড়’ মারেন কলকাতার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বাবলু সিং। এদিকে এই যাবতী অভিযোগ অস্বীকার করেন বাবলু।

ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার দুপুরে ভবানীপুরে রুদ্রনীল ঘোষের ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে। এই অভিনেতা তথা বিজেপি নেতার অভিযোগ, এদিন দেড়টা নাগাদ তাঁর ত্রাণ বিতরণ যখন শেষের পথে তখন চড়াও হন বাবলু সিং। রুদ্রনীলের কথায়, ‘ আমি ভবানীপুর গুরুদ্বারের কাছে ত্রাণ বিলি করছিলাম। সেই সময় বাবলু সিং এবং তাঁর দলবল আমার উপর চড়াও হন।

তিনি বলেন, তুই ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ছিলি না! এখানে এসে নাটক করা হচ্ছে! ত্রাণ দেওয়া যাবে না, ভবানীপুরে কেউ ঢুকবে না। এখান থেকে যাও।’ এই তৃণমূল নেতা তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারে বলেও অভিযোগ রুদ্রনীলের। তিনি জানান, যখন এই ঘটনা যখন ঘটছিল তখন ভবানীপুর থানার এক পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং পুরো ঘটনাটি চোখের সামনে ঘটতে দেখেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি। বরং তাঁকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে, রুদ্রনীল ঘোষের আনা এই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বাবলু সিং। তিনি বলেন, ‘রুদ্রনীলবাবু যদি প্রমাণ করতে পারেন আমি ওনার গায়ে স্পর্শ পর্যন্ত করেছি তাহলে তিনি যা শাস্তি দেবেন আমি মাথা পেতে নেব। ভবানীপুরে জলও জমেনি, কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। সেক্ষেত্রে কেন তিনি ত্রাণ বিলি করছেন আমি শুধু সেই প্রশ্ন করেছিলাম। উনি বলতে শুরু করেন তুমি কে, এখান থেকে ভাগো। ওনার কাছে ত্রাণ বিতরণের অনুমতি আছে কিনা সেই প্রশ্ন করায় উনি তেড়ে এলেন।’ ইতিমধ্যেই এই ঘটনা প্রসঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রুদ্রনীল।

রুদ্রনীল বলেন, “সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপির উর্ধ্বে সবাই তো মানুষ। মানুষ আজ বিপদের মধ্যে রয়েছে। তাঁদের ত্রাণও পৌঁছে দিতে দেবে না তৃণমূল।” তাঁর অভিযোগ, শুধু এখানে নয় গোটা রাজ্যে তৃণমূল এটা করছে। সিপিএম, বিজেপি দুই দলের লোকজনই মার খাচ্ছে। বিজেপি বেশি আসনে জিতেছে বলে বেশি মারছে বিজেপি কর্মীদের। আজ তাঁর গালে চড় মেরেছে। বলেছে, এখানে ত্রাণ দিতে কে বলেছে? মানে কাউকে ত্রাণ দেওয়াও যাবে না।

এই ঘটনার পরে স্থানীয় তৃণমূলকে নেতাকে টিভি ক্যামেরায় বলতে শোনা যায়, বলা নেই কওয়া নেই উনি ত্রাণ দিতে এসেছেন। আমরা তো ত্রাণ দিচ্ছি। ওনাকে কে আসতে বলেছিল। ত্রাণ দিতে বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু পুলিশের অনুমতি নিয়ে এসেছেন কি! ওই খাবারে বিষ থাকলে, খাবার খেয়ে মানুষের পেট খারাপ হলে আমাদেরই তো দেখতে হবে।

Previous articleপ্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে দিয়ে কলাইকুণ্ডা থেকে মমতা দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে
Next articleএকুশ সাল শেষ হওয়ার আগেই দেশের সকলে ভ্যাকসিন পাবেন, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here