শম্পা গুহ মজুমদার,কলকাতা: বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ শুনেই জেগে উঠেছে বাঙালি। তারপর থেকেই ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণের পালা। পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানানোর ভিড় সামাল দিতে গঙ্গার ঘাটে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
শরতের আকাশ কিছুটা হলেও বদলে গিয়েছে। পুজোর আগের চেনা রোদ্দুর নেই।
পরিবর্তে সকাল থেকে চলছে মেঘ–রোদ্দুরের লুকোচুরি। শিউলি ফুলও কিছুটা অমিল। তা সত্ত্বেও বাঙালির মহালয়ার সকালের কোনও বদল নেই। তাই তো ভোর হতে না হতেই ঘুম ভেঙে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়েন আমবাঙালি। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠে মুখরিত প্রতিটি বাঙালির ঘর। অমাবস্যার অন্ধকার কেটে সূর্যের প্রথম রশ্মিতে অবসান পিতৃপক্ষের।
সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। এই দিনটিতে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তর্পণ করেন অনেকেই। তাই সকাল থেকে বহু মানুষের জমায়েত গঙ্গায়। ভোর থেকে পা ফেলার জায়গা নেই বাগবাজার, শোভাবাজার, আহিরীটোলা, সহ গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে।
ঘাটে তর্পণ করতে আসা মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ৷
মহালয়ার সকালে তর্পণের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাটগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘাটের আশেপাশেই রয়েছে ডুবুরি। গঙ্গায় টহলদারি চালাচ্ছে কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশ।
ঘাটের চতুর্দিকে দড়ি, বাঁশ নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে মাঝিদের।
এই পিতৃপক্ষের শেষ দিন মহালয়া। মহালয়ার দিন ভোরবেলায় পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করার ছবি আমাদের খুবই পরিচিত। বাবুঘাট থেকে বাগবাজার কলকাতার সবঘাটেই তর্পনের হুড়োহুড়ি।
বাবুঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর ঘাট, বাগবাজার ঘাট- সর্বত্রই লোকারণ্য। গঙ্গার দু’ধারেই আজ বহু মানুষের ভিড়। সেই ভিড় সামাল দিতে টহল দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ ও রিভার ট্রাফিক পুলিশ। মহালয়াতে দেবী দুর্গার আগমনীর সন্ধিক্ষণে পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তিকামনায় আত্মসচেতন হিন্দুরা তাদের তর্পণ ও পিন্ডদান করে থাকেন।ছবি তুলেছেন-শম্পা গুহমজুমদার