দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। অর্থাৎ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরই এই মামলার তদন্ত করবে। ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর।
রবিবার রাত আটটা নাগাদ টিটাগড়ের বিজেপি পার্টি অফিসে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের ডাকসাইটে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল। রাত সওয়া দশটা নাগাদ বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মণীশের মৃত্যুর খবর রটতেই উত্তাল হয়ে ওঠে টিটাগড়। শুরু হয় বিটি রোড অবরোধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানোর হয় কমব্যাট ফোর্স।
এই ঘটনার পরেই তদন্তে নামে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় তারা। মোতায়েন করা হয় কমব্যাট ফোর্স। সোমবার সকালেও ঘটনাস্থলে যান পুলিশ আধিকারিকরা। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে শুরু করে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কোন দিকে দিয়ে দুষ্কৃতীরা এসেছিল ও খুনের পরে কোন দিকে তারা গিয়েছিল সেটাই প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখে পুলিশ। গতকাল ও আজ যে তথ্যপ্রমাণ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের হাতে ছিল তা সিআইডির হাতে তুলে দেয় তারা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা। দুপুরেই ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। পুরো এলাকা খতিয়ে দেখেন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে রাজ্য প্রশাসনের উপরেই ভরসা দেখাল সরকার।
যদিও এই ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টিটাগড়। পরিস্থিতি মোতায়েনে নামানো হয়েছে কমব্যাট ফোর্স। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, কাঁচের বোতল ছোড়া হয় বিজেপির জমায়েত থেকে। তারপরেই কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করা হয়। এই ঘটনায় ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে টিটাগড়।
গতকাল বিজেপি নেতা খুনের ঘটনার পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিজেপি নেতারা। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই বলেই অভিযোগ তাদের। এই খুনের ঘটনায় সরাসরি পুলিশকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। গতকাল তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজনই মণীশকে গুলি করেছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের হাত রয়েছে। নাহলে থানার কাছে ১৫-১৬ জন মিলে এই ধরনের হামলা চালাতে পারে না। সোমবার অর্জুন ফের অভিযোগ করে বলেন, যে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে, সেটা পুলিশের বন্দুক। থানা থেকেই সেটা দুষ্কৃতীদের দেওয়া হয়েছিল। কাজের পরে তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালেই মণীশ শুক্লর বাড়ি যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। কিন্তু তারপরেও সেই সিআইডি-র উপরেই ভরসা দেখাল রাজ্য প্রশাসন।