দেশের সময়: প্রায় ৭৫ দিনবন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে বনগাঁর পেট্রাপোল স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য৷ গত ২৩ মার্চের পর থেকে লকডাউন এবং তার পরেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় এশিয়ার বৃহত্তম এই স্থলবন্দরে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরেও দীর্ঘদিন বন্ধই ছিল পেট্রোপোল দিয়ে আমদানি-রফতানির কাজ।
নবান্ন সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণ এড়াতে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিধি নিষেধ মেনে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার ছাড়পত্র দিয়ে শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের কাছেও। ওই বিজ্ঞপ্তির উপর ভিত্তি করে তারা নির্দেশিকা জারি করবে। তার পরেই শুরু হবে সীমান্ত বাণিজ্য।কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ২৪ হাজার কোটি টাকার আমদানি-রফতানি হয় এই স্থলবন্দরের মাধ্যমে। সরাসরি প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এবং পরোক্ষ ভাবে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল এই স্থলবন্দরের উপর।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ২০০০ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক গত দু’মাস ধরে আটকে রয়েছে পেট্রাপোলে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুল্ক দফতর যদি শনিবার রাতেও নোটিফিকেশন ইস্যু করে তবে পুরোদমে কাজ চালু হতে সোমবার গড়িয়ে যাবে।”
বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্ত বাণিজ্য ফের চালু করার আবেদন জানিয়ে দরবার করা শুরু করেন। গত ৩০ মে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মেন্টর গোপাল শেঠও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার আবেদনও জানিয়েছিলেন। তিনি তাঁর চিঠিতে জানিয়েছিলেন, স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, ক্লিয়ারিং এজেন্ট এবং শ্রমিকরা, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং মহকুমা প্রশাসনও ঐকমত্য হয়েছেন, দ্রুত সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার ব্যপারে। গোপালবাবু স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানিয়েছিলেনন, সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ চালু করা হবে।
নবান্ন সূত্রে খবর, সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার জন্য আবেদন তাঁরা পাচ্ছিলেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বন্ধ রাখা হয়েছিল সীমান্ত বাণিজ্য। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ছা়ড়পত্র দেওয়া হল।তবে মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধি৷