দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতেও খুশির খবর পেলেন চা শ্রমিকরা। কুড়ি শতাংশ হারে পুজো বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হল রাজ্যের চা শ্রমিকদের। শুক্রবার রাজ্যে চা মালিকদের সংগঠনগুলোর নীতি নির্ধারক কমিটি সিসিপিএর (কনসালটেটিভ কমিটি ফর প্ল্যান্টেশন এসোসিয়েশন সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় চা শ্রমিক সংগঠনগুলোর।
এই বৈঠকেই চা মালিকদের সংগঠন আইটিপিএ, ডিবিআইটিএ-সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে চা শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রুগ্ন চা বাগানগুলোর ক্ষেত্রে চা মালিকদের কিছু ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছর চা শ্রমিকদের সাড়ে আঠেরো শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হয়েছিল। এবার চা শ্রমিকদের বোনাস দেড় শতাংশ বাড়িয়ে কুড়ি শতাংশ করা হল। চা মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘লাভজনক চাবাগান গুলোর ক্ষেত্রে চা শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্রমিকদের দিকে তাকিয়েই এই কোভিড পরিস্থিতিতেও গত বছরের তুলনায় দেড় শতাংশ বাড়িয়ে এবার চা শ্রমিকদের কুড়ি শতাংশ বোনাস দেওয়া হচ্ছে। রুগ্ন চা বাগানগুলোর ক্ষেত্রে বোনাসে মালিকদের কিছুটা কনসেশন দেওয়া হয়েছে।’’
জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলা বাদ দিয়ে ডুয়ার্স তরাইতে ১৬৮ টি চা বাগান খোলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ টি চা বাগান রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। দার্জিলিং চা বাগানগুলোর বোনাসের সিদ্ধান্ত প্রতিবছর আলাদাভাবে নেওয়া হয়। তরাই ডুয়ার্সের চা বাগানগুলোর বোনাসের সিদ্ধান্ত আলাদাভাবে নেওয়া হয়। শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
জানা গিয়েছে ৩৯ টি রুগ্ন চা বাগানেও একইহারে এবার শ্রমিকদের পুজোর বোনাস বাড়ানো হয়েছে। সামগ্রিক এই বোনাস বৃদ্ধির হারে খুশি শ্রমিকরা। ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি গোপাল প্রধান বলেন, ‘‘এবার দেড় শতাংশ হারে চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস বাড়ল। রুগ্ন বাগানগুলিতেও গত বছর শ্রমিকরা যে হারে বোনাস পেয়েছিলেন, এই বছর সেই সব চা বাগানে দেড় শতাংশ বেশি হারে পুজোর বোনাস পাবেন চা শ্রমিকরা। লাভজনক চা বাগানগুলিতে দেড় শতাংশ বাড়িয়ে এবার পুজোর বোনাস ২০ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা বোনাসের এই সিদ্ধান্তে খুশি।”
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস নিয়ে প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে গত বছরের মতো একই হারে এই বছরও চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস দিতে চান মালিকরা। শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা মালিকদের সেই সিদ্ধান্ত না মানায় বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল। শুক্রবার দ্বিতীয় বৈঠকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল।