কোমরসমান জলে হাঁটলেন পুর প্ৰধান ! ভাইরাল সেই ছবি দেখে  আতঙ্কে বনগাঁবাসী

0
88

প্রায় দেড় মাস ধরে বনগাঁ শহরে জমা জলে বিপর্যস্ত জনজীবন !

পার্থ সারথি নন্দী , দেশের সময় ,বনগাঁ : প্রায় দেড় মাস ধরে হাঁটু সমান জল ছিল। সেই জল পেরিয়েই এতদিন কোনও রকমে যাতায়াত করতেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেক মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন । ফের নিম্নচাপের জেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বৃষ্টিতে জমে থাকা জলের উচ্চতা আরও বেড়ে গিয়ে এ বার এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জল যন্ত্রণায় দুর্ভোগে পড়েছেন বনগাঁ শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামতি নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

মাঝে বৃষ্টির প্রকোপ কমেছিল । ধীর গতিতে জল সরতেও শুরু করেছিল বহু এলাকায় । ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষেরা জানাচ্ছেন, তাঁরা আশা করেছিলেন পুজোর আগেই বাড়ি ফিরতে পারবেন!কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফের জল বেড়ে গিয়েছে । পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে গত দেড় মাসে বাইরের কেউ এলাকায় যাতায়াত করতে পারছেন না। জল জমে থাকায় বিভিন্ন অসুখ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওই এলাকার মানুষেরা ।

পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি দীনবন্ধুনগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার । কোথাও বুকসমান জল আবার কোথাও কোমরসমান জলে ডুবে আছে রাস্তা থেকে শুরু করে বহু বাড়ি ।

শুক্রবার সকালে ভারী বৃষ্টির মধ্যেই পুরপ্রধান গোপাল শেঠ ও দুই কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ  বিশ্বাস এবং  মৌসুমি চক্রবর্তীকে নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ড দীনবন্ধু যান । জলবন্দি মনুষদেরকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন । সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বনগাঁবাসীর মধ্যে । তবে কি আবার ২০০০ সালের মত ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়তে চলেছেন বনগাঁর মানুষ ।

চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন,স্বাভাবিক ভাবেই এত জল দেখলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নদী পাড়ের মানুষ । তবে এখনই তেমন কোনো সংকেত নেই বলে আশার বাণী শোনান তিনি । পাশাপাশি বলেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে । সেখানে প্রায় ২৫০ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তাঁদেরকে চাল,ডাল, আলু, সয়াবিন সহ শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে । ইছামতি নদীর পাড় এলাকায় বৃষ্টির জমা জলের পাশাপাশি নদীর জল ঢুকে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।

শনিবার দীনবন্ধু নগরে গিয়ে দেখা গেল, ইছামতী নদীর পাড়ে থাকা গার্ড ওয়ালের ছিদ্র দিয়ে নদীর জল লোকালয়ে ঢুকছে । এলাকার বাসিন্দারা শুক্রবার সকাল থেকেই জিনিসপত্র নিয়ে জল ঠেলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন ।

স্থানীয়বাসিন্দারা জানান , ইছামতীর পাড়ে গার্ডওয়াল থাকায় তাঁদের জলমগ্ন হওয়ার হাত থেকে তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিতে আরও জল জমে গিয়েছে । সেই জল বের করার কোন পথ নেই ।  তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা ঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন । তাঁদের দাবি ইছামতী নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্বার হোক।

পুর প্রধান বলেন, দীনবন্ধু নগর ছাড়াও নতুনগ্রাম এলাকাও জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে । এদিকে পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ১৪টি ওয়ার্ড ৮০ শতাংশ জল মগ্ন হয়ে গিয়েছে । বর্তমানে  প্রায় ৫ হাজার পরিবার জলবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন ।

Previous articlePm modi ভারত নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণের পথে এগোচ্ছে , জাতীয় মহাকাশ দিবসে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
Next articleচন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যে মহাকাশভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা কলকাতায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here