দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ ইস্টবেঙ্গল যখন নিজেদের মাঠে এরিয়ানকে হারাল, ঠিক তখনই কল্যাণী স্টেডিয়ামে বেহালা এসএস-কে হারাল মোহনবাগান। খেলার ফল ২-১। ফলে আগের ম্যাচ জিতেই রবিবার যুবভারতীতে নামতে চলেছে দুই প্রধান। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন সালভা চামোরো এবং নওরেম।
খেলা শুরুর প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। কিন্তু ফার্ন গাঞ্জালেসের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর বিএসএস-এর বক্সে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেও কিছুতেই গোল আসছিল না কিবু ভিকুনার দলের। ২৯ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের মুখ খোলেন স্প্যানিশ ফুটবলার সালভা চামোরো। হেডার থেকে এগিয়ে দেন বাগানকে। কিন্তু এক গোলের লিড স্থায়ী হয়নি এক মিনিটও। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রঘু নন্দীর বিএসএস খেলায় ফিরে আসে। গোল করে সমতা ফেরায় ইম্যানুয়েল ওপোকু।
১-১ স্কোর বোর্ড নিয়েই বিরতিতে ড্রেসিং রুমে যায় দু’দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া আক্রমণ শানাতে থাকে মোহনবাগান। ৫৫ মিনিটে বাগানের জয়সূচক গোল করে নগদম্বা নওরেম। তবে শেষের দিকে বিএসএস চাপ বাড়ালেও আর বাগান ডিফেন্স পরাস্ত হয়নি।
তবে এ দিন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল কলকাতা ফুটবল লিগ। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এ দিন বিএসএস বেঞ্চে কোচ হিসেবে ছিলেন ময়দানের পোড় খাওয়া রঘু নন্দী।
আর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এরিয়ান বেঞ্চে কোচ হিসেবে ছিলেন রঘু-পুত্র রাজদীপ নন্দী। দুটি ম্যাচই একই সময়ে শুরু হয়েছিল। ফলে একই টুর্নামেন্টে একই সময়ে বাবা এবং ছেলে দুটি টিমের কোচের দায়িত্বে, অনেকে বলছেন বিরলতম ঘটনা। ছবি তুলেছেন- শান্তনু বিশ্বাস।