করোনামুক্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে

0
557

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনাকে জয় করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বুধবার তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। বেলভিউ হাসপাতাল সূত্রে খবর চিকিৎসাতেও সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্রবাবু। kকরোনা আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের মাথায় আজ কোভিড টেস্ট হয় অভিনেতার। তাতেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আশার কথা এটাই যে সৌমিত্রবাবু চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তিনি চোখ মেলেছেন। তাঁর শরীর সংক্রমণ কমছে এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ভালভাবে কাজ করছে। তবে সামান্য জ্বর রয়েছে তাঁর।

অক্টোবরের প্রথম দিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন সৌমিত্রবাবু। জ্বর, সর্দির মতো কোভিডের উপসর্গ ছিল তাঁর শরীরে। ৫ অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা হয় এবং রিপোর্ট আসে পজিটিভ। ৬ তারিখ সকাল ১১ টা নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এমনিতে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধদের জন্য বেশ ঝুঁকির। তার উপর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অনেকগুলি কো-মর্বিডিটি রয়েছে। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

আজ সকালেই বেলভিউ হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছিল যে গতকালের তুলনায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। হার্টবিট, রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে অভিনেতার। যদিও এখনও উদ্বেগ পুরোটা কাটেনি। কারণ এখনও তাঁর শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা খানিকটা বেশি রয়েছে। মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণে প্রস্রাবে ই-কোলাই পাওয়া গিয়েছে। তাতেই সোডিয়ামের মাত্রা বেড়েছে। 

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে ভাল ঘুম হয়েছে সৌমিত্রবাবুর। মাঝে মস্তিষ্কে এনসেফ্যালোপ্যাথির কারণে মৃদু উত্তেজনা ছিল সৌমিত্রবাবুর। সেই সঙ্গে তাঁর ঘুম কমে গিয়েছিল। তবে তন্দ্রাভাব রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। তাঁর এমআরআই রিপোর্টেও খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি।

সৌমিত্রবাবুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকদিনের। ২০০৬ সাল থেকে তিনি সিওপিডিতে আক্রান্ত। গত বছর নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল সৌমিত্রবাবুর। এবারও তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তা সারিয়ে ফেলা সম্ভব। ইনভ্যাসিভ ভেন্টিলেশন দেওয়ার এখনই কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন না ডাক্তাররা। সৌমিত্রবাবুকে নন-ইনভ্যাসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। 

এই জাতীয় ভেন্টিলেশনে মুখে মাস্ক পরিয়ে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়। তবে রিপোর্টে যা দেখা যাচ্ছে, অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৯৫ শতাংশের বেশি। কাজেই আশা করা যায়, তাঁর শ্বাসের সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।

Previous articleবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হায়দরাবাদ, ভেসে যাচ্ছে মানুষ,গাড়ি, দেওয়াল ভেঙে মৃত ৯, রয়েছে দু’মাসের এক শিশুও
Next articleপুজোর পর বাংলায় আসবেন অমিত শাহ,জেপি নাড্ডা আসছেন তাঁর আগেই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here