দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভারতে যখন দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে, তখন আশার কথা শোনালেন হু-র কর্তা মাইকেল জে রায়ান। তাঁর মতে, মহামারী মোকাবিলার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা আছে ভারতের। অতীতে স্মল পক্স ও পোলিও মহামারী মোকাবিলা করেছে ভারত। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তারা কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখবে।
একইসঙ্গে রায়ান বলেছেন, “ভারতে কোভিড ১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভারত খুবই জনবহুল দেশ। ওই দেশ এর আগে দু’টি মহামারীর মোকাবিলা করেছে। সুতরাং এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা ভারতের আছে।” একইসঙ্গে রায়ান বলেন, ভারতে রোগ পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ কবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া খুব শক্ত। ভারতের মতো দেশ অতীতে সারা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে, আগামী দিনেও দেখাবে বলে আশা করা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে পৃথিবীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৫৭ জন। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৩১২ জনের। অর্থাৎ মৃত্যুর পরিমাণ মোট আক্রান্তের ৪ শতাংশের একটু বেশি। আর এই ভাইরাসের কবল থেকে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৭১ জন। এই পরিমাণ আক্রান্তের হিসেবে ২৭ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ প্রতি চার জন আক্রান্তের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
Responding to my Qs about #Covid19 situation in #India,Mike Ryan,ChiefExecutive Director of HealthEmergencies Programme @who said some very encouraging words about Indian efforts in war against Pandemics.He termed eradication of SmallPox &Polio as India's gift to mankind.@ABPNews pic.twitter.com/ERuq4UcTQG
— Pranay Upadhyaya (@JournoPranay) March 23, 2020
এখনও পর্যন্ত যেমন সবথেকে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে চিন, তেমনই সবথেকে বেশি সুস্থ হয়েছে সেই দেশেই। চিনে ৮১ হাজার ০৯৩ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭২ হাজার ৭০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৭০ জনের। ইতালিতে ৬৩ হাজার ৯২৭ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭ হাজার ৪৩২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৭ জনের। এছাড়া ইরানে ৮ হাজার ৩৭৬, স্পেনে ৩ হাজার ৩৫৫, দক্ষিণ কোরিয়াতে ৩ হাজার ১৬৬ ও ফ্রান্সে ২ হাজার ২০০ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গুণোত্তর প্রগতিতে বাড়ায় একদিকে যেমন আশঙ্কা, অন্যদিকে তেমনই এই সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যায় আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকেরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং করতে পারলেই এই ভাইরাসের হাত থকে রক্ষা পাওয়া যায়। চিন সেটা করে দেখিয়েছে। সেই পথেই এগোচ্ছে ইতালি, আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ৷
ভারতে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭১ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৪ জন। ইতিমধ্যেই দেশের ৩০ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন ও ঘরোয়া বিমান পরিষেবা। বিদেশ থেকে আসা বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মানুষকে ঘর থেকে বেরাতে নিষেধ করা হয়েছে। অর্থাৎ হু-এর দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছে ভারতও।