দেশের সময়: বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে রক্তের সংকট মেটাতে করোনা বিধি মেনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল বনগাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘নাওভাঙা’। রবিবার এই শিবিরের আয়োজন করা হয় বনগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত প্রায় এক বছর ধরেই সেইভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন হচ্ছে না। ফলে মাঝেমধ্যেই রক্তের সংকট দেখা দিচ্ছে বনগাঁ ব্লাড ব্যাংকে। হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক গোপাল পোদ্দারের চেষ্টায় কিছু কিছু রক্তদান শিবিরের আয়োজন হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফের বাধাপ্রাপ্ত হয় সেই প্রচেষ্টা।
নতুন করে রক্তের সংকট দেখা দেয়। ডাক্তার পোদ্দারের কাছ থেকে এই সংকটের কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন নাওভাঙা সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তদাতাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান রাখেন। ঠিক হয় আজ ২৩ মে রবিবার বনগাঁ হাই স্কুল প্রাঙ্গণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে। রক্তদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা যেন অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেন। সে আবেদনে সাড়া দিয়ে গত কয়েকদিনে মোট ১৫৫ জন নাম নথিভুক্ত করেন। তাঁদের মধ্যে এদিন শারীরিক কারণে কয়েকজনের নাম বাদ যায়।
শেষ পর্যন্ত ১৩৩ জন রক্তদান করতে পারেন। সংস্থার সম্পাদক ঋতেশ সাহা জানান, ‘রক্তদাতাদের মধ্যে যুবক-যুবতীদের সংখ্যাই বেশি। আরো উল্লেখ করা যায় যে রক্তদাতাদের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও যথেষ্ট ছিলেন। বনগাঁ হাইস্কুলের ঐকতান ভবনে আয়োজিত এই শিবিরে এক ঘণ্টায় ৪০ জন রক্ত দান করবেন, এইভাবে সময় বেঁধে দিয়ে যাতে কোনোভাবেই শিবিরে অনেক ভিড় না হয়ে যায়, তার জন্য সমস্ত বিধি মেনে শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেই মতো রক্তদাতাদের রক্তদানের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। প্রতিবার রক্তদানের জন্য আলাদা আলাদা বিছানার চাদরের ব্যবস্থাও রাখা হয়।’ সংস্থার এমন অভাবনীয় উদ্যোগে আপ্লুত চিকিৎসক গোপাল পোদ্দার। তিনি জানান, ‘এইভাবে যদি সমাজের সচেতন মানুষেরা এগিয়ে আসেন, তাহলে যে কোনো সঙ্কটই মোকাবেলা করা সম্ভব।’