ষষ্ঠীর বোধনেই উৎসবমুখর গোটা বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম কলকাতা তো বটেই, জেলায় জেলায় মণ্ডপ জমজমাট মানুষের ভিড়ে। সন্ধে নামতেই রাজপথে জনস্রোত। যে ঢেউ আরও বড় আকার নিয়েছে, মঙ্গলবার সপ্তমীর সকাল থেকে। ষষ্ঠীতেই ঘোষিত হয়েছে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০১৮’। সেই মণ্ডপগুলিতে তিলধারণের জায়গা নেই।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস— উৎসবের দিনগুলোয় আকাশ থাকবে মেঘমুক্ত এবং রোদ ঝলমলে। দিনে রোদ আর বিকেলের পর আলোর রোশনাই। শুধু কলকাতা বা আশপাশের জেলা নয়, উৎসবের স্বাদ উপভোগ করতে পৌঁছে গেছেন বহু বিদেশি পর্যটক। বাংলাদেশ থেকেও এসেছেন পুজো–পিপাসুরা। শহরের পথে যত বেড়েছে মানুষ, তত মন্থর হয়েছে যানবাহনের গতি। কিন্তু পুলিসের পরিকল্পনায় কোথাও যানজট হয়নি। মহাত্মা গান্ধী রোড, কলেজ স্ট্রিট, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী, আনওয়ার শাহ রোডে রাজপথ থমকে গেলেও একেবারে থেমে থাকেনি। শ্রীভূমির মণ্ডপে ভিড়ের চোটে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বিধাননগরের সঙ্গে সংযোগকারী ফুটব্রিজ।
ষষ্ঠীর রাতে ভীড় জমেছিল কলেজ স্কোয়্যারে। মণ্ডপে আলোর খেলা। সামনের জলাশয়ে তার ঝলকানি দেখতে ভিড় করেছিলেন উৎসবমুখী মানুষ। ভিড় ছিল বিধাননগরের এফ ডি, এফ ই পার্ক এবং বি জে ব্লকের পুজোয়। যেখানে চীনা প্রাসাদের আদলে গড়ে উঠেছে মণ্ডপ।
একডালিয়া না সুরুচি সঙ্ঘ নাকি চেতলা অগ্রণী? চালতাবাগান, ত্রিধারা নাকি দেশপ্রিয় পার্ক? মহম্মদ আলি পার্ক, বাগবাজার সার্বজনীন, কলেজ স্কোয়্যার নাকি হরিদেবপুর অজেয় সংহতি? কাকে ছেড়ে কাকে দেখবে জনতা! রাত যত বেড়েছে, তত বেড়েছে দর্শকের ঢল।
সীমান্ত শহর বনগাঁয় ,পঞ্চমীর সন্ধ্যা ছিল উৎসবের আগমনি। ষষ্ঠীতে হাজার হাজার মানুষ গভীর রাত পর্যন্ত মন্ডপে মন্ডপে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতীমা দর্শন করেছেন৷বনগাঁ শিমুলতলা আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাব, ১৫পল্লী যুবগোষ্ঠী,৩নং টালিখোলা এগিয়ে চলো সংঘ, প্রতাপ গড় স্পোর্টিং ক্লাব, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী মন্দির,রেটপাড়া, চরকতলা স্পোর্টিং ক্লাব, জাগ্রত সংঘ,তালতলা পোর্টিং ক্লাব, অভিযান সংঘ,দত্তপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব, ডায়মন্ড ক্লাব,ঢাকাপাড়া,সাহাপাড়া থেকে শুরু করে আমলা পাড়া স্পোটিং এবং উজ্জ্বল সংঘ ও উজ্জ্বল মেঘালয় সংঘ হয়ে জ্ঞানবিকাশিনী ক্লাব সাথে শান্তি সংঘক্লাবের মন্ডপ এবং প্রতীমা৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নজড় শহর জুড়ে চোখে পড়ার মত৷ – দেশের সময়ঃ