দেশেরসময়ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই নানা ভাবে মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। এদিন তারই যেন জবাব দিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, মানুষের পাশে থাকার জন্য তাঁর করোনা সংক্রমণ হলেও তিনি ভয় পান না।
লকডাউনের মধ্যে সাধারণ মানুষের হাতে কখনও খাবার পৌঁছে দিতে, কখনও মাস্ক বিলি করতে পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন হাসপাতালেও গিয়েছেন। এমনকী বাজারে বাজারে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা হচ্ছে কিনা তা দেখতেও পথে নেমেছেন। শুধু পথে নামাই নয়, রাস্তায় ইট দিতে ঘর কেটে বুঝিয়ে দিয়েছেন কীভাবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দূরত্ব রাখতে হবে।
গত কয়েকদিন ধরে শহরে নতুন করে সচেতনতা বাড়াতে কলকাতার পথে পথে গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন তিনি। গাড়ি থেকে না নামলেও সামনের আসনে বসে মাইক হাতে সকলকে লকডাউন মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে চলেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সেই ভাবেই কলকাতার নানা প্রান্তে যান। এরই মধ্যে বেহালায় তিনি বলেন, “মানুষকে সচেতন করার জন্য আমি পথে নামবই। আমার করোনা হলেও আমি পরোয়া করি না। বুঝব, মানুষের পাশে থাকতে গিয়ে কিছু একটা হয়েছে।”
লকডাউন চলায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের অসুবিধার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু করোনাকে হারাতে ঘরেই থাকতে হবে। শান্ত থাকুন। ঘরে থাকুন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।” এর পাশাপাশি সকলের মধ্যে সাহস জোগাতে তিনি বলেন, “করোনা হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পুলিশকে জানান। ওঁদের সাহায্য নিয়ে হাসপাতালে যান।” এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “মানুষের পাশে থাকবই। করোনা হলে পরোয়া করি না।”
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বারবার বলছেন, লকডাউন ভাঙছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অভিযোগের মুখে দাঁড়িয়ে এদিন কি রাজনৈতিক জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? এমন প্রশ্নও উঠছে। এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, প্রথম থেকেই সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নেত্রী। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, অভিভাবকের মতো রাজ্যবাসীর পাশে রয়েছেন তিনি। বিরোধী নেতারা যখন করোনা সংক্রমণের ভয়ে জড়োসড়ো তখন অকুতভয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।