দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ওমিক্রন আতঙ্কে কাঁপছে দেশ৷ দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে কলকাতাতেও। ওমিক্রন ঠেকাতে আগামী দিনে ফের কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে হতে পারে বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাইরে থেকে অনেকেই ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যে ঢুকছেন। তাই কোভিড বিধি আলগা করলে চলবে না। তবে এখনই এতটা কড়াকড়ির দরকার নেই বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজন হলে ফের আগের মতো বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে বলে এদিন সতর্ক করেছেন তিনি।
ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে নবান্নে। দুদিন আগেই জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি বলেছেন, ওমিক্রন যেভাবে রাজ্যে ঢুকে পড়েছে তাতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। আগামী ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
জেলায় জেলায় কোভিড টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মাস্ক বাধ্যতামূলক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যেভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল, সেইভাবে এখনও করোনা-বিধি আরও জোরদার করারই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
নবান্নের নির্দেশ, হাসপাতালে কোভিড বেড বাড়াতে হবে। রাস্তাঘাটে মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। মাস্ক না পরলেই আগের মতো কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। কোভিড টেস্ট, ট্রেসিং বাড়াতে হবে। আক্রান্তরা কতজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা কনট্যাক্ট ট্রেসিং করলেই জানা যাবে। প্রয়োজন পড়লে এলাকা চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জ়োন তৈরি করা যেতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। কোভিড পজিটিভ ধরা পড়লেই আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আগেই বলেছিল, বিদেশ ফেরত কোভিড পজিটিভদের জন্য ১৪ দিনের আইসোলেশন বাধ্যতামূলক। আইসোলেশনে থাকার সময় গাইডলাই মাফিক নিয়ম মানতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সময় রেকর্ড সংক্রমণ দিনে চার লাখ ধরা পড়েছিল। ওমিক্রন ছড়াতে শুরু করলে প্রতিদিনের হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।