দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: খেলায় যে স্বেচ্ছা–শৃঙ্খলাবোধ, দক্ষতা, দলগত একতা, সহ্যশক্তি আর লড়াকু মানসিকতা প্রয়োজন। সেটাই এখন করোনাভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার দুপুরে ক্রীড়া ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক সেরে টুইট পোস্টে এমনটাই লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এবং তার জেরে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করার পর এদিনই প্রথম ক্রীড়াজগতের সঙ্গে আলোচনা সারেন মোদী। বিভিন্ন ক্ষেত্রের মোট ৪০জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কথা হয় তাঁর।
তাঁদের মধ্যে যেমন ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন তেন্ডুলকর, বর্তমান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, যুবরাজ সিং, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পুজারার মতো প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটাররা। তেমনই ছিলেন মেরি কম, পিটি ঊষা, পুল্লেল্লা গোপীচন্দ, বিশ্বনাথন আনন্দ, হিমা দাস, বজরঙ্গ পুনিয়া, পিভি সিন্ধুর মতো অন্য ক্রীড়া ক্ষেত্রের নক্ষত্ররাও।
টুইটারে মোদী আরও লেখেন, সুস্থ থাকার জন্য ভিডিও ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে, গরিবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করে এবং মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আবেদন করে খেলোয়াড়রা দেশের প্রতি নিজেদের ভূমিকা পালন করছেন।
দেশকে সম্মান এনে দেওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানানোর সঙ্গেই মোদী তাঁদের আবেদন করেন তাঁরা যেন দেশবাসীকে পাঁচটা নীতি মানতে উদ্বুদ্ধ করেন। সেগুলো হল–
মহামারী রুখতে ‘সঙ্কল্প’।
সামাজিক দূরত্ব মানার ‘সংযম’।
সদর্থক মানসিকতা বজায় রাখতে ‘সাকারাত্মকতা’।
স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এবং পুলিশের মতো যাঁরা এই লড়াই সামনে থেকে লড়ছেন তাঁদের প্রতি ‘সম্মান’।
এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জাতীয় এবং ব্যক্তিগত স্তরে অর্থসাহায্য করে ‘সহযোগ’।
খেলোয়াড়রাও মোদীকে তাঁর শক্ত হাতে এই পরিস্থিতি পরিচালনার জন্য অভিনন্দন জানান। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মানসকি স্থিতি ফেরাতে এবং শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা করেন মোদীর সঙ্গে খেলোয়াড়রা।