দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পুলওয়ামা হামলার কথা মনে পড়ে!
শ্রীনগরে যাওয়ার পথে নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা।
উপত্যকায় তেমনই বড় হামলার ছক রুখে দিল নিরাপত্তা বাহিনী। যে গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করে হামলার ছক কষা হয়েছিল, সেই গাড়িই আটকে দিয়েছে পুলিশ।
জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আগাম গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে বড় হামলার পরিকল্পনায় রয়েছে জঙ্গিরা। ঠিক যে ভাবে পুলওয়ামায় হামলা করা হয়েছিল, তেমনই কৌশল করছে তারা। এ জন্য গতকাল থেকেই একটি গাড়ির খোঁজে ওত পেতে ছিল পুলিশ। উপত্যকায় জোর তল্লাশি চলছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে চেক পোস্টে একটি গাড়িকে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। সেটিতে ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। কিন্তু না থেমে সেটি গতি বাড়িয়ে দেওয়ায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী গাড়িটির উদ্দেশে গুলি ছুড়তে শুরু করে। চালক নেমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ঠিকই। কিন্তু গাড়িটি থেকে কুড়ি কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। যা বড় মাপের হামলার জন্য যথেষ্ট। ওই বিস্ফোরকের সঙ্গে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস লাগানো ছিল। তা বিকল করেছে বম্ব ডিসপোসাল স্কোয়াড।
বিজয় কুমার জানিয়েছেন, জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী যৌথ ভাবে এই অভিযান চালিয়েছিল। আগাম গোয়েন্দা তথ্য ফলো করেই এই সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
উপত্যকায় এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য রোজই অন্তত বেশ কয়েকটি করে আসে। কিন্তু কোনটি প্রকৃত থ্রেট, কোনটি নয়, তা খুঁজে বের করা খুবই জটিল বিষয়।
২০১৯ সালে ঠিক এ ভাবেই কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল একটি গাড়ি। সেই বিস্ফোরণে চল্লিশ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পরে তার দায় স্বীকার করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় ২ মাস ধরে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বেশ বেড়ে গিয়েছে। এই ২ মাসে বিভিন্ন অপারেশনে অন্তত ৩৮ জন জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে নিরাপত্তা বাহিনীরও অন্তত তিরিশ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসেই পুলওয়ামায় বিশেষ সেনা অপারেশনে মারা গিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার রিয়াজ নাইকু। সেনা কর্তাদের অনেকের মতে, নাইকুকে খতম করার পর জঙ্গিদের তরফ থেকে পাল্টা হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীও এ ব্যাপারে সর্বদাই সতর্ক রয়েছে।