দেশের সময়, অশোকনগর: দেওয়াল দখলে রেখে কোথাও শুধু চুন করা হয়েছে। আবার কোথাও শুধুমাত্র দলের প্রতীক এঁকে রেখে দেওয়া হয়েছে। আসলে দলের পক্ষ থেকে যাকে প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁকে মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না নিচুতলার কর্মীরা। আর তারই প্রভাব পরেছে দেওয়ালে। এমন নিঃশব্দ বিদ্রোহের খন্ড চিত্র উঠে এল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রে।
এই বিধানসভা কেন্দ্রে এবারেও তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে গত দুবারের জয়ী প্রার্থী ধীমান রায়কে। আর সেখানেই আপত্তি তুলেছেন দলের একাংশের নেতা, কর্মীরা। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরপরই অশোকনগর বিধানসভার অন্তর্গত গ্রামাঞ্চলে ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন দলের একাংশ। এবারে সেই আঁচ পড়ল এই কেন্দ্রের শহরাঞ্চলেও। এলাকা ঘুরে দেখা গেল, অনেক দেওয়ালেই তৃণমূলের নাম লেখা অবস্থায় শুধুমাত্র চুন করা।
আবার কোথাও দলের জোড়া ফুল প্রতীক চিহ্ন এঁকে ‘এই চিহ্নে ভোট দিন’ বলে আবেদন জানানো। অথচ কোনো প্রার্থীর নাম সেখানে নেই। এমন পরিস্থিতি কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে এলাকার একশ্রেণীর তৃণমূল কর্মীরা জানালেন, ধীমান রায়ের বিরুদ্ধে অনেক ক্ষোভ রয়েছে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের। এমন মানুষকে ফের প্রার্থী করায় তারা মনে মনে খুব হতাশ। আর সেই কারণেই তাঁর নামে দেওয়াল লিখনের অনীহা তৈরি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, প্রার্থী বিমান রায়কে মানতে না পেরে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক জায়গায় পোস্টারও মারা হয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে তৃণমূলের অন্য অংশের দাবি, এই পোস্টার লাগানোর কাজ করেছে বিজেপি।
এই বিষয়টিকেই রাজনীতির বাজারে ক্যাশ করার চেষ্টা করছে বিজেপি।
অশোকনগরের বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার জানান, অন্য দলের নামে পোস্টার লাগানোর কালচার বিজেপির নেই। আসলে শোনা যাচ্ছে, ধীমান রায়ের নামে একটি কুরুচিকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। আর সেটাই লজ্জায় ফেলেছে তাদের দলের কর্মীদের। সেই কারণে কর্মীরা দেওয়াল লেখা, তার হয়ে ভোট প্রচারে যাওয়ার মতো কাজ থেকে সরে রয়েছেন কর্মীরা।