অর্জুনকে আটকাতে শেষ বেলার কৌশল নিলেন মমতা

0
1810

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:গত কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল ভাটপাড়ার দাপুটে তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়াচ্ছেন। তার অন্যতম কারণ, লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুরে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হতে না পারা। কিন্তু অর্জুন মানে গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অন্যতম রিমোট কন্ট্রোল। এমন নেতা যদি ভোটের আগে উল্টো শিবিরে যান তাহলে চিন্তা তো হবেই। তাই অর্জুনকে ‘বেঁধে রাখতে’ নবান্নে ডেকে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুনের সঙ্গেই এ দিন মমতার ঘরে যান ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীও।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে অর্জুন বা দীনেশ কেউই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। অর্জুনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ব্যারাকপুরে প্রার্থী কে হবেন? এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, “কে প্রার্থী হবেন সেটা আমার দল তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক করবে।” দীনেশ ত্রিবেদীও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে মুখ খোলেননি। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “কে প্রার্থী হবেন সেটা দল ঠিক করবে।”

প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের সময়ে অর্জুনের নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিদি তাঁকে ক্যাবিনেটে নেননি। অনেকে মনে করছেন, হয়তো মন্ত্রিসভার গাজর দেখিয়েই অর্জুনকে এ যাত্রায় ঠাণ্ডা করার কৌশল নিয়েছে বাংলার শাসক দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তবে ব্যারাকপুরে দীনেশকেই প্রার্থী করা হবে, নাকি অর্জুনকে দাঁড় করিয়ে দীনেশকে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে, শেষ অবধি ঠিক করবেন নেত্রী নিজে।

একটি সূত্রের দাবি, অর্জুনকে প্রথমে বলা হয়েছিল, লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে যদি তাঁর এত আগ্রহ থাকে, তা হলে বিহারের কোনও আসন থেকে তাঁকে টিকিট দিতে পারে দল। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে অর্জুন হলেন বিহারের পর্যবেক্ষক। স্বাভাবিক ভাবেই এ প্রস্তাবে রাজি হননি অর্জুন সিং। পরে তাঁকে আসানসোলে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারেও প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও সম্মতি জানাননি ভাটপাড়ার বিধায়ক।

রবিবারও কালীঘাটে গিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। অর্জুনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হয়েছে, ব্যারাকপুরে যে দীনেশ ত্রিবেদীকেই আবার প্রার্থী করা হবে সে ব্যাপারে সপ্তাহ খানেক আগে ভাটপাড়ার বিধায়ককে ফোন করে জানান নেত্রী। সেই সঙ্গে নাকি এও বলেন, অন্তর্ঘাত যেন না হয় সেখানে। জবাবে অর্জুন নাকি নেত্রীকে জানিয়ে দেন, বিরোধিতা করতে হলে দলের বাইরে গিয়ে তা সরাসরিই করবেন। দলের মধ্যে থেকে অন্তর্ঘাত করবেন না।

নবান্নের বৈঠকের পর এখন দেখার অর্জুনকে কী ভাবে ট্যাকল করেন নেত্রী। কাল-পরশু প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলে ছবিটা আরও স্পষ্টতর হয়ে যাবে। তখনই বোঝা যাবে কী করেন অর্জুন

Previous articleরিলিজ করলো ভিঞ্চি দা’র ট্রেলার
Next articleকাল বিজেপি-তে বড় মুখ যোগ দেবেন ~কৈলাস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here