দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বিজেপি সমর্থক হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধরের ফলে মহিলার গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ থানার ট্যাংরা গ্রামের। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বিজেপি কর্মী সাদ্দাম গাজি ও তাঁর স্ত্রী সোনালি গাজিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় সোনালি বিবিকে প্রথমে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলা বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ হলেও তাঁর গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধেবেলা চকপাটলি এলাকায় বিজেপির একটি কর্মিসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন সাদ্দাম গাজি। সভা শেষে ফেরার পরে তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাদের হাতে লাঠি, রড ছিল।
বিজেপি সভায় কেন গিয়েছে সাদ্দাম, এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে নাকি মারধর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। স্বামীকে বাঁচাতে যান সোনালি গাজি। তখনই তাঁর পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরেই হাসপাতালে গেলে বোঝা যায়, ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর।
এই ঘটনার পরে সাদ্দাম গাজি হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁরা আগে তৃণমূল করতেন। কিন্তু পরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই কারণেই তাঁদের উপর হামলা করা হয়েছে। বসিরহাটের বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি দুলাল রায় বলেছেন, “বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলেই ওদের মারধর করা হয়েছে। সাদ্দামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটেও লাথি মারার হয়েছে। এতে ওর গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” দুষ্কৃতীদের যাতে তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হয়, সেই দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সাদ্দামের সঙ্গে বিজেপির লোকেদেরই ঝামেলা হয়েছিল। তখনই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। তাদের নাম খারাপ করার জন্য মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, সেই ব্যাপারে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাথি মারার ফলেই সোনালির ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে কিনা তাও দেখা হবে। জেরা করা হবে তাঁদেরও। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পিছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।