অকর্মণ্য আইএএস, আইপিএস, দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারদের নামের তালিকা চাইল প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়

0
574

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত দফতর ও মন্ত্রককে নির্দেশ দিল, যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের বয়স ৫০ থেকে ৫৫, কর্মজীবনের ৩০ বছর পেরিয়ে গেছে, তাঁদের নামের একটি তালিকা তৈরি করতে। এর ফলে দুর্নীতিপরায়ণ ও অকর্মণ্য কর্মীদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।

ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের তরফে জারি করা একটি নির্দেশিকায় সমস্ত সরকারি দফতর ও মন্ত্রকগুলিকে জানানো হয়েছে, ওই সমস্ত কর্মীদের প্রতি তিন মাসের কাজের রিভিউ করতে হবে অফিসকে। তাই দেখেই সরকার ঠিক করবে, নির্ধারিত বয়স ৫৮ বছরের আগে কাদের কাদের অবসর স্থির করা প্রয়োজন। ওই নির্দেশিকায় লেখা রয়েছে, “সরকারি কাজে আরও স্বচ্ছতা ও সাম্য আনার জন্য এই রিভিউয়ের চেষ্টা করছে সরকার।”

প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কর্মজীবনের ৩০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে, এমন কর্মীদের কাজের দক্ষতা ভাল করে খতিয়ে দেখতে হবে প্রতিটি রিভিউয়ে। পুরনো নথি ঘেঁটে দেখতে হবে তাঁরা এর আগে কোনও দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন কিনা। যদি তাঁদের কাজের রেকর্ডে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়, কাহলে তাঁদের অবসর নিতে বাধ্য করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রীয় দফতরে এই সার্ভিস রেকর্ড রিভিউ চালু হতে চলেছে। সাধারণ মানুষের ভাল পরিষেবা পাওয়ার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রর।

জানা গেছে, সরকারি কর্মীদের কাজ করার দক্ষতা বিচার করা হবে ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক বিধি ৫৬ (জে) এবং ৫৬ (আই), এছাড়া সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসের ১৯৭২ এর ৪৮ (১) (বি) ধারার আওতায়। এই ধারা অনুযায়ী যে কোনও সরকারি কর্মচারীকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করার অধিকার থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

পাশাপাশি, সরকারি সূত্রের খবর, অতীতেও বিভিন্ন দফতরে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল কোনও ব্যক্তির কাজ করার দক্ষতা প্রয়োজন ও প্রত্যাশিতর তুলনায় কম কিনা তা জানতে এবং তা যদি হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। তবে এবারের নির্দেশিকা কেন্দ্রের পদক্ষেপ বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছে। কীভাবে কী করতে হবে, তার একটা বিস্তারিত গাইডলাইনও দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীদের কাজের গতি পর্যবেক্ষণ, কর্মপদ্ধতির মূল্যায়ণ, এবং বাধ্যতামূলক অবসরগ্রহণকে পরস্পরের সঙ্গে জুড়তে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সমস্ত কেন্দ্রীয় দফতর ও মন্ত্রকের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার আগেই কোনও সরকারি কর্মীকে অবসর গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া মানে তা কোনও শাস্তি নয়। এটি স্বেচ্ছা অবসরগ্রহণেরই নামান্তর। কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস রুল ১৯৬৫ অনুযায়ী কাজে গাফিলতির জন্য এই নিয়ম ইতিমধ্যেই রয়েছে।

অর্থাৎ এখন থেকে ৫০-৫৫ বছর বয়স বা ৩০ বছর কাজ করেছেন এমন যে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে সরকার যে কোনও মুহূর্তে অবসরগ্রহণে বাধ্য করতে পারে, কাজে গাফিলতি বা দুর্নীতির অভিযোগে।,

Previous articleপ্রকাশ্যে গুলি চালাল গুন্ডা বাহিনী! রণক্ষেত্র ডোমকল, আহত এক
Next articleহাবরায় ৯টি জলমগ্ন গ্রাম পরিদর্শন এর পর টিপির বাঁধ ও পার্ক ভেঙে এলাকার মানুষকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here