Writaja Chatterjee Artist রং- তুলির টানে জাপান থেকে ফিরে কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে গোবরডাঙার ঋতজা পেশা আর নেশাকে মিলিয়েছেন ক্যানভাসে: দেখুন ভিডিও

0
21
পার্থ সারথি নন্দী , দেশের সময়

নিত্য নতুন সৃষ্টির আনন্দই যেন তাঁর সম্বল। পথ চলার শুরু সেই ছোট্ট থেকেই। বাড়িতে ছিল একটি বড়ো স্লেট। সেখানেই শুরু হয় রেখার খেলা। নিজের খেয়ালমতো আঁকতেন তিনি। রসদ পেতে একছুটে চলে যেতেন ঠাকুমার কাছে। রূপকথার গল্পগুলো কল্পনাকে শক্তি দিত। তাতে ভর করেই চলত তাঁর কলম্বাসের জাহাজ। অদ্ভুত অদ্ভুত সব কাজ করতেন। বাড়ির উঠানে বৃষ্টির জমাজলে  ভাসাতেন কাগজের নৌকা। তাতে লাগিয়ে দিতেন পাল। তারপর যখন দিব্যি ভেসে থাকত নৌকাটি , তখন চিৎকার করে বলে উঠতো মা আমি পেরেছি । বাড়ির বাগানে মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে বড় হয়ে ওঠা উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গার চ্যাটার্জী বাড়ী এক মাত্র  মেয়ে  ‘ঋতজা’ বিশ্বভারতীর গণ্ডি পেরিয়ে এক দিন রওনা দিলেন জাপানে উদ্যেশ্যে । সেখানে  দু ‘ বছরের বিদেশি ভাষায় নিজেকে প্রস্তুত করে দেশে ফিরে কর্পোরেট  অফিসের চাকরি রত অবস্থায় মোটা মাইনের সেই চাকরি
ছেড়ে ফের ধরেছেন রংতুলি, স্বপ্ন ছিল শিল্পী হওয়ার।  পেশা আর নেশাকে মিলিয়েছেন ক্যানভাসে।

করপরেট অফিসের  ফরমায়েশি কাজ থেকে নিজস্ব ক্যানভাস – ছবির মতো লড়াকু জীবন শুধু করেছেন ঋতজা। দেখুন ভিডিও

একরত্তি রীতজার মনে কখন যে শিল্পী হওয়ার বাসনা জেগে উঠেছিল, তা একমাত্র টের পেয়েছিলেন রীতজার মা প্রত্যুষা চ্যাটার্জী ।

জীবন তো এক আলো-আঁধারির খেলা। সেখানে শুধু কল্পনার তাণ্ডব নয়, আসে বাস্তবের কঠোর অভিঘাতও।
চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠার প্রথাগত যাত্রা শুরু করেছেন গোবরডাঙার ঋতজা ।

কোনও বড় শিল্পীর কাছে কখনও তালিমও নেননি সেভাবে তবু রং-তুলিই তাঁর জীবনের একমাত্র সহচরী।  অনুচিত্র অঙ্কনই তাঁর স্বপ্ন ও সাধনা। তুলির জাদুতে ইতিমধ্যে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। দেবীপক্ষে এবার পোড়া মাটিতে দেবী দুর্গা গড়েছেন রীতজা ।

জীবন-জীবিকার তাগিদে রীতজা কেবল ছবি নিয়ে ভাবতে পারেন না। বাবা -মা’ কে একটু সাচ্ছন্দে রাখতে সংসারের জোয়াল বইতে বেছে নিয়েছেন বুটিকের কাজ ।

Previous articleগুজরাতে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন বনগাঁর আইনজীবীদের : দেখুন ভিডিও
Next articleWeather Update ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস কলকাতায় !বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া, কোন কোন জেলায় দুর্যোগ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here