কলকাতা : বর্ষবরণের রাতে ফিরবে শীত। জানাল হাওয়া অফিস। বড়দিন বা গত সপ্তাহে ঠান্ডা প্রায় গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তবে চলতি সপ্তাহেই কনকনে ঠান্ডা ফেরার ইঙ্গিত দিল আলিপুর।
মঙ্গলবার থেকে পরপর কয়েকদিন ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ পতনের পূর্বাভাস। উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করবে ফের। তবে কুয়াশার দাপট থাকবে। কমবে দৃশ্যমানতা।
পৌষের মাঝামাঝি সময়ে পৌঁছে গেলেও এখনও পর্যন্ত জাঁকিয়ে শীতের দেখা মেলেনি। উল্টে শুরুর কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে। এর মাঝে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনেও তাপমাত্রার পারদ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে উপরে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, বছরের শেষ দিনে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা এখনই নেই। আগামী কয়েক দিনে তিন থেকে চার ডিগ্রি নামতে পারে পারদ।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ খানিকটা বেশি। রবিবারের চেয়ে (১৬.৬) সোমবার তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বেড়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। তার পরের তিন দিনে তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে উত্তর এবং দক্ষিণের প্রায় সব জেলাতেই। আপাতত রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকবে সর্বত্র।
দক্ষিণবঙ্গে সোম ও মঙ্গলবার কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশি কুয়াশা হতে পারে দুই বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে ও সকালের দিকে কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে নেমে আসতে পারে বেশিরভাগ এলাকায়। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নামতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। কলকাতায় মূলত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। মঙ্গলবার থেকে পারদ পতনের সম্ভাবনা। তিন দিনে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। কলকাতায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তুরে হাওয়ার পথে ফের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও জাঁকিয়ে শীত বা কনকনে ঠান্ডা অধরাই থেকে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর–পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় তৈরি হতে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ১ এবং ৬ জানুয়ারি। এছাড়া জেডস্ট্রিম উইন্ড রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এছাড়া রাজস্থানে রয়েছে একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। রাজস্থানের ঘূর্ণাবর্ত থেকে গুজরাট পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে।
এ বারের শীতে মূলত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় থাকবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। এ ছাড়া, পূর্ব বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। রাজস্থানেও সক্রিয় অন্য একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর ফলে রাজ্যে প্রবেশে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। যে কারণে পারদ নামতে পারছে না।