দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সকালে হালকা শিরশিরানি ভাব আর কুয়াশার চাদরে ঘুম ভাঙছে কলকাতার । শীতের আমেজে বেজায় খুশি শহরবাসী। মর্নিং ওয়াকারদের দেখা যাচ্ছে চাদর-টুপি ব্যবহার করতে। তবে জাঁকিয়ে শীতের অপেক্ষায় বাঙালি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর অবশ্য কিছুটা হলেও সুখবর শুনিয়েছে। জানা যাচ্ছেন নিম্নচাপের ভ্রুকুটি কাটলেই আগামী সপ্তাহ থেকে পারদ পতন হবে কলকাতায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের উপর কোনও সিস্টেম নেই। আগামী পাঁচদিন মূলত শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই ৷
উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এবং দার্জিলিং এই দুই জেলায় বৃষ্টিপাত চলছে। ১১ তারিখ পর্যন্ত সেখানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রার পারদ নামবে। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বাদ পড়বে না দক্ষিণবঙ্গও। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় আগামী সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রার পারদ নামতে চলেছে। এমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। তার কিছুটা অবশ্য টের পাওয়া যাবে চলতি উইকএন্ডেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী চারদিন রাতের তাপমাত্রা ২০ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠায় থাকবে। আগামী সাত থেকে দশদিনের মধ্যে এই তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে। এর আগেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, বঙ্গে শীত শীত ভাব অনুভূত হলেও এই মুহূর্তে পাকাপাকিভাবে ঠান্ডা প্রবেশের কোনও সম্ভাবনাই নেই।
এদিকে, সাইক্লোন সিত্রাংয়ের পর বাংলাদেশে ফের একবার একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। সম্প্রতি ওপার বাংলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে। এই জন্য এখন থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। যদিও বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই বিষয়ে এখনই কোনও পূর্বাভাস নেই।
এদিকে, ফের বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ৷ ১০ তারিখ থেকে এই নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে শুরু করবে৷ আইএমডি নিজেদের ওয়েদার আপডেটে জানিয়েছে এই কারণে ৪৫-৫৫ কিলোমিটার গতিতে বইবে ঝোড়ো হাওয়া৷ যখন সমুদ্র থেকে ল্যান্ডে প্রবেশ করবে তখন গাস্টিং স্পিড ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা অবধি হতে পারে ৷
১০ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা উপকূল থেকে তামিলনাড়ুতে প্রভাব বিস্তার করবে এই নিম্নচাপ৷ তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশে এর প্রভাব পড়বে ১১-১২ তারিখে৷ এই নিম্নচাপের থেকে সতর্কতা হিসেব মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷
এদিকে সাইক্লোনিক সার্কুলেশন এখনও বঙ্গোপসাগরের ওপর নিজের অস্তিত্ব বজায় রেখেছে৷ দক্ষিণ -পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তার সন্নিহিত ভারত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের ৪.৫ কিলোমিটার ওপরে বিস্তৃত রয়েছে৷ এর জেরে এই এলাকাতেও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নিম্নচাপ ক্ষেত্র তৈরি হবে৷
তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির দিকে ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে এর জেরে বৃষ্টি হবে৷ এরপরে এটা উত্তরপশ্চিমে এগোবে৷ এর জেরে বৃষ্টি হবে বিভিন্ন জায়গায়৷ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে৷ তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, করাইকল, রায়লসীমা, অন্ধ্রপ্রদেশে ১১ ও ১২ তারিখে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷
জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট , বালটিস্তান, মুজফরাবাদে ৮-১০ তারিখ, হিমাচল প্রদেশে ৯-১১ তারিখ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে৷ উত্তরাখণ্ডেও ৯-১০ তারিখ তুষারপাত হয়েছে৷
পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে উত্তর পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টিপাত জারি থাকছে৷ পঞ্জাব-হরিয়ানা. চণ্ডীগড়, দিল্লিতেও ইতঃস্তত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে৷ পূর্ব ও পশ্চিম রাজস্থানেও আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওয়েদার আপডেটে জানিয়েছে আইএমডি৷