কলকাতা : রাতে পাখা চালিয়ে ঘুমোলেও ভোরের দিকে ঠান্ডার জেরে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে, আবার গায়ে দিতে হচ্ছে চাদর। একটু বেলা বাড়লেই আবার বেড়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। রাতে আবার পারদ নিচের দিকে। কার্যত এই ধরনের আবহাওয়া রোজ অনুভব করছেন রাজ্যবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এর অর্থ শীতের আমেজ এসে গিয়েছে বাংলায়।
কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নামল স্বাভাবিকের নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা না বদলালেও সকালের দিকে শীত অনুভূত হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ধীরে ধীরে নামবে তাপমাত্রার পারদ, পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।
রাজ্যে শীত পড়তে আর বেশিদিন বাকি নেই। কবে থেকে বাংলায় শীত পড়বে তা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আকাশ আপাতত একেবারে পরিষ্কার থাকবে। দক্ষিণ পশ্চিম বায়ু আর প্রবেশ করছে না বাংলায়। ধীরে ধীরে উত্তুরে হাওয়া ঢোকা শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এরকমই আবহাওয়া থাকবে রাজ্যে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই। শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। বৃহস্পতিবার থেকে নামতে থাকবে তাপমাত্রার পারদ। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকেই পারদ পতন হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। অবশেষে দুয়ারে বহু প্রতীক্ষার শীত।
চলতি বছর রাজ্যে উত্তুরে হাওয়ার অবাধ প্রবেশ বিভিন্ন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। কখনও সাইক্লোন আবার কখনও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন কোনও ‘সিস্টেম’, শীতের বদলে মিলেছে ‘অকাল বৃষ্টি’। নভেম্বর মাসের শুরুতেও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের উপরে। স্বাভাবিকভাবেই শীতের প্রত্যাশায় সাধারণ মানুষ। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামা শীতের আগমনের আগাম বার্তা বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
চার, পাঁচ দিন পর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আজ দার্জিলিং জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার উত্তরবঙ্গের আরও তিন জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও নামবে তাপমাত্রার পারদ।