দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও এবার যেন দার্জিলিঙে একটু আগেই ঠান্ডার ঢুকে পড়েছে। আর এর ফলে পাহাড়ে এখন ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশ। পর্যটকরা দারুণ উপভোগ করছেন।
আবহাওয়াবিদদের মতে, গতবারের তুলনায় এ বছর মাসখানেক আগেই হিমের পরশ লেগেছে দার্জিলিংয়ের। পাহাড়ে সাধারণত শীত শুরু হয় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে। আর তা চলে মার্চের শেষ পর্যন্ত। তবে এ বছর খানিকটা এগিয়ে এসেছে যেন।
গত কয়েকদিন বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আকাশে-বাতাসে। আর তাই মানুষজন দারুণ মজা করছেন। পর্যটকেরা রংবেরঙের শীত পোশাক গায়ে চাপিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
পাহাড়ে পোশাক বিক্রেতাদের বিক্রি এক ঝটকায় যেন কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, আকাশ দেখলে মন ভাল হয়ে যাবে। একদম ঝকঝকে । পাহাড়ের ছবি দেখলে মুগ্ধ হয়ে থাকতে হয়। এই মুহুর্তে মানুষের ভিড় বেশ চোখে পড়ার মতো ৷
রেলস্টেশন হোক বা অন্য জনপ্রিয় জায়গা টুক টুক টুক করে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। গল্প করছেন, আড্ডা মারছেন। খাওয়া-দাওয়া জমে উঠেছে। আর সেই সঙ্গে তো প্রকৃতিও দুর্দান্ত সঙ্গ দিচ্ছে।
সকলের মুখে মুখে একটাই কথা, এত সুন্দর আবহাওয়া। ভাল তো এমনিই লাগবে। আর তাই পাহাড় তাঁদের মুগ্ধ করছে। মজে রেয়েছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা। তা সে কলকাতার তানিয়া সেন, হোক বা দিল্লির এসা তেওয়ারী।
পাহাড় যে তারা দারুণ উপভোগ করছেন সে নিয়ে সন্দেহ নেই। তানিয়ার কথায় , সকালে বেশ ঠান্ডা। ভোর হতেই টাইগারের গিয়েছিলাম। সেখানে দারুণ ঠান্ডা ছিল।
এসা জানান , এখানে দারুণ ঠান্ডা। তবে পাহাড়ের রূপ মোহিত করেছে। এর আগে এমন দেখিনি এই ঠান্ডায় দারুণ লাগছে, পাহাড়টা দারুণ উপভোগ করছি। আমরা ইন্টারনেটে দার্জিলিংয়ের বিষয়ে যা জেনেছিলাম, এখানে এসে দেখছি, ঠিক তাই। সপরিবারে এখানে এসেছি। এই প্রথম আমরা দার্জিলিংয়ে এলাম। এতদিন পাহাড়ের ছবি দেখেছিলাম। তবে এখন সত্যি সত্যি দেখতে পারলাম।
স্থানীয় এক দোকানদার জানান জানান, প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়ে যায়। তবে এ বছর এখন থেকেই তো শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকে আসছেন, কিনছেন। পাহাড়ে যেন ঠান্ডাটা এবার একটু আগেই পড়েছে আর তাতে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও খুশি৷
এদিকে কলকাতা সহ দক্ষিণ বঙ্গের আবহাওয়ায় বদল হয়েছে৷ উত্তুরে হাওয়ার দাপটে বেশ নামছিল তাপমাত্রার পারদ। রাত এবং ভোরবেলা অনুভূত হচ্ছিল শীত শীত ভাব। জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও হালকা কম্বল বেরিয়ে গিয়েছিল আলমারি থেকে। কিন্তু, ফের বাধ সাধল নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের উৎপত্তি সপ্তাহান্তে বৃষ্টি ভ্রুকুটি জারি করেছে বঙ্গে। অর্থাৎ এখনই স্থায়ী হচ্ছে না ঠান্ডা আমেজ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতি থাকবে রবিবার পর্যন্ত। পূর্বাভাস মতোই বৃহস্পতিবার থেকে বাড়ল সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। পূবালি হাওয়ার জন্য আগামী তিনদিন কমবে উত্তুরে হাওয়ার দাপটও। বঙ্গের আকাশও থাকবে খানিকটা মেঘলা।
উপকূল এবং উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে আকাশ থাকবে মেঘলা। সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তালিকায় রয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর। এই জেলাগুলিতে শুক্রবার থেকেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।