দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হল প্রথমে। এর পরে উনুনের উপর বিশাল কড়াই চাপিয়ে, তাতে জল ফুটিয়ে, অচেতন স্ত্রীকে সেই কড়াইয়ে ফেলে সেদ্ধ করল স্বামী ৷ তার পরে চরম আক্রোশে তার এক পা টেনে ছিঁড়ে নিল সে। এই গোটা ঘটনাটি তাদের ছয় সন্তানের সামনে! পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঘটনায় অভিযুক্ত আশিক এখনও পলাতক।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে, নার্গিস নামের ওই মহিলাকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিত স্বামী আশিক। এতে আশিকের কিছু আর্থিক লাভ হতো। কিন্তু নার্গিস কিছুতেই তাতে রাজি হননি। এই নিয়ে অশান্তি অনেক দিন ধরে চলছিল। এর পরেই চরম আক্রোশে নার্গিসকে এভাবে খুন করে বসে আশিক।
জানা গেছে, আশিক একটি স্কুলের দারোয়ান হিসেবে কাজ করত। ওই স্কুলেই পড়ত তাদের ছয় ছেলেমেয়ে। তবে স্কুলটি গত ৯ মাস ধরে বন্ধ। স্কুললাগোয়া কোয়ার্টারেই থাকত আশিক ও তার পরিবার। ঘরের ভিতরে অশান্তি করে স্ত্রী নার্গিসকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে আশিক। তার পরে দেহটি স্কুলের রান্নাঘরে নিয়ে যায়, সেখানেই উনুন জ্বেলে কড়াই চাপায়।
কিছুক্ষণে ছেলেমেয়েরাও সেখানে পৌঁছয়, দেখে ওই ভয়াবহ দৃশ্য। তাদের মাকে কড়াইয়ে সেদ্ধ করছে বাবা! মায়ের এই অবস্থা দেখে চিৎকার শুরু করে দেয় বাচ্চারা। ১৫ বছর বয়সি বড় মেয়ে খবর দেয় অন্যদের। পুলিশ এসে পৌঁছয় এর পরে। ততক্ষণে তিন সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে আশিক। পুলিশ এসে কড়াই থেকে উদ্ধার করে নার্গিসের দেহ। তার একটি পাও ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছিল নৃশংস ভাবে।
সিন্ধ প্রদেশের সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ আব্দুর রহিম শেরাজি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা তিনটি বাচ্চাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা রীতিমতো ট্রমায় আছে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে নার্গিসের দেহ। তাতেই সামনে এসেছে, শ্বাসরোধ করে খুনের বিষয়টি।
পলাতক আশিকের সন্ধানে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। তার সঙ্গে তিনটি বাচ্চাও রয়েছে।