দেশের সময় , বনগাঁ: আজ শনিবার সকাল ৭টা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। তার আগে শুক্রবার রাতে বনগাঁ ব্লকের ঘাটবাওর গ্রামে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল ব্যালট পেপার। তা ফেলে দেওয়া হল পুকুরের জলে। খবর পেয়ে পুলিশ টর্চ জ্বেলে সেই ব্যালট পেপার উদ্ধারে নামে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ব্যালট পেপারের হিসাব দিতে পারেননি প্রিসাইডিং অফিসার। তাদের তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ ৮৩ নম্বর ও ৮৪ নম্বর বুথের একটিতে ৮৪৪টি ভোট রয়েছে, অন্যটিতে রয়েছে প্রায় সাড়ে নয়’শ ভোটার।
প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছিলেন, শনিবার সকালে ভোট শুরুর আগে তাঁরা প্রথামতো ব্যালট পেপারের হিসাব দেবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন। তাঁর কথায়, “আমরা নিজেদের কাজ করছিলাম। উত্তেজিত লোকজন এসে সেন্ট্রাল ফোর্সের দাবি করে ব্যালট পেপার নিয়ে জলে ফেলে দেয়।”
প্রশ্ন হল, তাহলে গ্রামবাসীদের একাংশ কীভাবে জানতে পারলেন যে ব্যালট কম রয়েছে?
বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বিকেলে ভোট কর্মীরা অটোতে চেপে আসেন। তার পর ভোট কেন্দ্রে চারটি স্করপিও গাড়ি ঢুকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা নাকি এর পর দেখতে পান, পেপারে সই করছে। এরপর ব্যালট পেপারের হিসাব চাইলে তা দিতে অস্বীকার করা হয়। তাই বাকি ব্যালট ছিনিয়ে গ্রামবাসীরা পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
রাতে দেখা যায়, গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ করছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে এই দুই বুথে ব্যাপক ছাপ্পা হয়েছিল। এবার তাঁরা নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে চাইছেন।
৮৩ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থীর পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি ও সিপিএমের লোকেরা মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তাঁর কথায়, ওঁরা বুঝে গেছে যে ভোট হলে হেরে যাবে। তাই ইচ্ছা করে গণ্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা করছিল। বুথে ঢুকে পরিকল্পনামাফিক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, কে বা কারা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তা চালু ছিল কিনা বা তার থেকে কোনও ফুটেজ পাওয়া যায় কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। বনগাঁর এই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।