দেশের সময় , বনগাঁ:রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ঠিক আগের দিন মাঠে পড়ে গুলিতে ঝাঁঝরা এক ব্যক্তির দেহ। উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ছড়াল চাঞ্চল্য। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও একজনকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মপুর গ্রামের খেদায়তলা রোডে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর নাগাদ বনগাঁ থানার কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মপুর এলাকায় রাস্তার ধারে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পথচলতি মানুষ। তার গোটা শরীর তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পাশেই পড়ে ছিল মোটর বাইকটি। একই সঙ্গে আরও এক ব্যক্তির পিঠে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি কোনওরকমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে পাশের একটি বাড়ির গোয়ালঘরে আশ্রয় নেওয়ায় এই যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
মৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ। বছর ৪৫ বয়সের ওই ব্যক্তির বাড়ি হাবড়া এলাকায় বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আহত ব্যক্তির নাম প্রতাপ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি গাইঘাটার বকচরা এলাকায়। এছাড়াও ঘটনাস্থলে কৃষ্ণ নামে আরও এক ব্যক্তির উপস্থিতির কথা জানা যাচ্ছে। যদিও ওই ব্যক্তি পলাতক।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বাগদার বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘এটা একটা জমির দালালি চক্র। এরা সবাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। পুলিশ দেখছে এর সঙ্গে আরও কারা কারা যুক্ত আছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে ও যারা যারা যুক্ত আছে তারা গ্রেফতার হবে।’
বিশ্বজিৎ দাস আরও বলেন, ‘এটা সমাজ বিরোদীদের লড়াই। এরা সবাই বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।’ যদিও বিজেপির দাবি নির্বাচনে অশান্তি ছড়াতে তৃণমূলই এদের এলাকায় নিয়ে এসেছে। তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে, বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘ওরা তো সিবিআই-কে বলতে পারে। ওদের তো কথায় কথায় সিবিআই, এটাতোও সিবিআই তদন্ত করা উচিত।’ বিশ্বজিতের পালটা দাবি, ‘জমির এই দালালির সঙ্গে বিজেপির অনেক নেতারা যুক্ত আছেন।’
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন এই ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই এলাকায় ভোট ঘিরে কোনও অশান্তি নেই। গ্রামবাসীদের প্রত্যেকেই মিলেমিশে থাকেন। এক্ষেত্রে আগামীদিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেই দিকে নজর দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা।