দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ আটটা নয়, রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত রাজ্যে খুলে রাখা যাবে সমস্ত দোকান, রেস্তোরাঁ এবং পানশালা৷ আগামী ১৬ অগাস্ট থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে৷ করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের নতুন যে নির্দেশিকা নবান্ন থেকে এ দিন দেওয়া হয়েছে, সেখানেই পানশালা এবং রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময়সীমা বৃদ্ধির উল্লেখ করা হয়েছে৷
১৬ অগাস্ট থেকে এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। শুক্রবার নবান্নের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলায় কোভিড নিয়ন্ত্রণে আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বজায় রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নতুন করে ছাড়ও দেওয়া হয়েছে৷ যেমন নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী নাইট কারফিউয়ের সময়সীমা শুরু হচ্ছে রাত ১১টা থেকে৷ আর সেই কারণেই রেস্তোরাঁ এবং পানশালা খোলার সময়সীমাও বাড়ানো হল৷
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৬ অগাস্ট রাত ৮টার বদলে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ, পানশালা সহ সমস্ত দোকান খুলে রাখা যাবে৷ এর পাশাপাশি থিয়েটার হল, মঞ্চ, ওপেন এয়ার থিয়েটারও পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক নিয়ে চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলও পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক বা ধারণ ক্ষমতা নিয়ে চালু করা যাবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে৷
তবে, আপাতত রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রামাঞ্চলে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হলে তবেই লোকাল ট্রেন চালানো হবে। সংক্রমণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, কোভিড আবহে রাজ্যে কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। কিন্তু, সাধারণ যাত্রীরা স্টাফ স্পেশালে উঠতে পারবেন না। যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান নিত্যযাত্রীদের একাংশ।
এদিকে, বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ সামান্য কমল। কমল মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৯ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। একদিনে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৪৯ জন। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৫। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.১৫ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১০ হাজার ১০৯।মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৮ হাজার ৮০০। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ২৭৬ জনের।