দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আংশিক মেঘলা আকাশ, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কমছে না কিছুতেই। তাপমাত্রারও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।
আগামী ২৪ ঘণ্টা তেমন বৃষ্টি না হলেও, রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতাতেও আজ বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। শনিবারের পর বৃষ্টি বাড়বে। আংশিক মেঘলা আকাশ। বৃষ্টি হলেও জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।

শহরে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৭ থেকে ৯২ শতাংশ।

উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। শনিবার থেকে বৃষ্টি আরও কমবে উত্তরবঙ্গে।

এসবের মধ্যেই মৌসুমী অক্ষরেখার পশ্চিমাংশ ক্রমশ সরে আসবে দক্ষিণবঙ্গের কাছাকাছি। বিকানির, কোটা, গুনা, জব্বলপুর, পেন্ড্রারোডের পর দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের নিম্নচাপ এলাকার ওপর দিয়ে গোপালপুরের পর পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বদিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

এর জেরে শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা সংলগ্ন বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা শনিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে। রবি ও সোমবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।

অন্যদিকে,গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে প্রবল বর্ষণ। ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি একাধিক রাজ্যে। তবে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বৃষ্টি পরিস্থিতি বদলায়নি।

প্রবল বর্ষণে বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে লাল সতর্কতা জারি করেছিল হাওয়া অফিস। বৃহস্পতির পর শুক্রবারের পরিস্থিতিও একই। শুক্রবারও মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি হয়েছে। যার জেরে মুম্বইয়ে জারি হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। পালঘর এবং থানেতে ভারী বৃষ্টির কারণে সমস্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মোদক সাগর হ্রদের জল উপচে পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের আরও তিনটি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।

বৃহস্পতিবার টানা প্রবল বৃষ্টির কারণে থানের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বেশ কয়েকটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। থানের কালওয়ার এক ব্যক্তি প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে ভেসে গিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের মতোই গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে তেলেঙ্গনায়। বৃহস্পতির পর শুক্রবারেও সেখানকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা ছত্তীসগড়, বিদর্ভতেও। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, কর্নাটক, মধ্য মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত এলাকায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লিতে।
