দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বর্ষা ঢুকেছে দক্ষিণবঙ্গেও।এখনও পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির দেখা মেলেনি দক্ষিণবঙ্গের কিছু বিক্ষিপ্ত জায়গা ছাড়া। আজ সকাল থেকেও রোদের তেজ ভালোই কলকাতার আকাশের। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ ভারি বা অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুধু আজ নয়, জুন মাসেই আর সেভাবে বর্ষা শুরু হবে না দক্ষিণে।
তবে আজ আগামী ২-৩ ঘণ্টায় বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণে জুন মাসে ভারী বৃষ্টি তেমন হবে না । উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দাপট যতটা দক্ষিণে ঘাটতি ততটাই। এবার দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা দুর্বল। বৃষ্টির তেজ তেমন বাড়বে না বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সর্তকতা আজও জারি রয়েছে । তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি সেভাবে না হলেও দিনভর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি জারি থাকবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। রিপোর্ট বলছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে বর্ষার শুরু থেকেই ব্যাপক হারে বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। এখনও পর্যন্ত উত্তবঙ্গ এবং সিকিমে ৫১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
দিনের বেলায় কটকটে রোদ, বেলা বাড়লেই কখনও মেঘলা আকাশ, আবার কখনও গুমোট ভ্যাপসা গরম। একদিন বৃষ্টি হলে, পরপর দু’দিন চাতকের মতো অপেক্ষাই সার।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাতের দিকে আকাশ অংশত মেঘলা এবং তাপমাত্রা খানিকটা কমবে৷ এদিনও দিনের বেলার তাপমাত্র ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘুরলেও ফিল লাইক টেম্পারেচর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতোই হবে৷ আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিনভর আংশিকভাবে মেঘলা আকাশ দেখা যাবে।
মঙ্গল এবং বুধবার ফের উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে ৷ দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।
একটানা বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের সব নদীতে জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এখন কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টির ফলে ফের আরও বৃদ্ধি পাবে জলস্তর। ডুয়ার্সের নদীর জলস্তর বাড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি হয়েছে। পাহাড়ে ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।