দেশের সময় , কলকাতা: শিয়রে সংক্রান্তি, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে নতুন বছর। ডিসেম্বরের শেষ থেকে সেই যে ‘ভ্যানিস’ হয়েছে শীত, আর তার দেখা নেই! তবে শীতকাল বিদায়ের আগে খুশির খবর শোনাল আবহাওয়া অফিস। দেখুন ভিডিও
সপ্তাহের শেষে নতুন করে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা। স্বাভাবিকভাবেই আশায় শীতপ্রেমীরা। আগামী দুই থেকে তিন দিন একই রকম থাকবে তাপমাত্রার পারদ।
বৃহস্পতিবারের পর আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। পৌষ সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে। কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে নামতে পারে বেশ কিছুটা। সপ্তাহের শেষে শহরে পারদ পতনের সম্ভাবনা। দুই থেকে তিন ডিগ্রি নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যে নতুন করে একটি শীতের স্পেল আসতে পারে। ডিসেম্বরে শেষ। দশ দিনের স্পেল ছিল। চার থেকে পাঁচ দিনের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলতে পারে আবহাওয়া। যার ফলে ফের নতুন করে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাঁকিয়ে পড়তে পারে ঠান্ডা। পূবালি হাওয়ার কারণে প্রবেশ করছে জলীয় বাষ্প। আংশিক মেঘলা আকাশ সহ আগামী দু’তিন দিন একই থাকবে তাপমাত্রার পারদ।
শুক্রবারের পর উত্তরবঙ্গেও পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে যাবে। সেই সময় হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরেই শীতের আরও একটি ঝোড়ো ইনিংসের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েক দিন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে।
উত্তর পশ্চিম ভারতে আজ থেকেই নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রভাব ফেলতে শুরু করবে। তার জেরে জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। মধ্য প্রদেশ, রাজস্থানে হতে পারে শিলাবৃষ্টি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা মানেই পূবালি বাতাসের আনাগোনাও বাড়বে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার জেরে কুয়াশা বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গেও বেড়েছে কুয়াশার দাপট। মঙ্গলবার সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। কুয়াশায় ভিজেছে রাস্তা। মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি হয়েছে। নেমেছে তাপমাত্রাও। ১২ ডিগ্রির ঘর পার করেছে। ডুয়ার্সেও সেই ছবি। ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে তাপমাত্রা। বেলা বাড়ছে, বাড়ছে কুয়াশার দাপট। সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না।
তবে এবার চিন্তা বাড়াচ্ছে কুয়াশা। বিশেষ করে আলু চাষিদের জন্য খুবই চিন্তার। দিনের পর দিন ঘন কুয়াশা ও শীত কমে যাওয়ায় আলু গাছে পোকার আক্রমণ বাড়ছে। ঘন কুয়াশায় আলু গাছে ক্ষতি হচ্ছে। এর আগে অকাল বৃষ্টিতে আলু বীজের ক্ষতি হয়েছিল। তবে ধারদেনা করে আবারও চাষ করেছেন কৃষকরা। কিন্তু এমন কুয়াশা যদি থাকে, তা চিন্তার।