মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ১২২ বছরে এমন গরম পড়েনি দেশে। গত এপ্রিলে দেশের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ সোমবারও রাজ্যের সব জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ।
তবে ঝড়,জলের জন্য সামগ্রিক ভাবে স্বস্তি পেয়েছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তাপমাত্রা আরও ৪ ডিগ্রি মতো নামতে পারে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দুপুরের দিকে অস্বস্তি থাকবে। কারণ, তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি বা তার বেশি এবং সেই আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮০ শতাংশের বেশি থাকলে ভ্যাপসা গরম ভাব অনুভূত হয়।
কলকাতায় আজ সোমবার আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। আর্দ্রতা জনিত অস্ব থাকবে দুপুরে। বিকেলের দিকে বা রাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কালবৈশাখীও হতে পারে।
বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে। ঝোড়ো হাওয়া, শিলা বৃষ্টির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। দার্জিলিং কালিম্পং ছাড়া রাজ্যজুড়ে কালবৈশাখীর সর্তকতা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে।
অন্যদিকে, আন্দামান সাগরে তৈরি একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা ঘনিয়েছে। বুধবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার রাতে কিংবা শুক্রবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার পর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে সেটি। আপাতত অভিমুখ হল বাংলা বা ওড়িশা উপকূল।
আগামী চার পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং সিকিমে। আগামীকাল অরুণাচল প্রদেশের প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আসাম ও মেঘালয়ে। মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায়।
রাজ্যের জন্য সুখবর শোনা গেলেও, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে বেশ কয়েকটি জায়গায় তাপপ্রবাহ ফিরে আসতে চলেছে। আজ থেকেই শুরু হবে তা। যা চিন্তা বাড়ছে। মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ী, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, চন্ডিগড় সহ একাধিক জায়গায় ঝড় ও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু সেই বৃষ্টির স্বস্তি সাময়িক বলে জানাচ্ছে মৌসম ভবন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল প্রত্যক্ষ করছে ভারত। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ১২২ বছরে এমন গরম পড়েনি দেশে। গত এপ্রিলে দেশের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৭৩ সালে মধ্য ভারতের গড় তাপমাত্রা ৩৭.৭৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। দেশ জুড়ে দাবদাহের এই পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষকে আগেই সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। তবে মারাত্মক এই গরমের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন আবহবিদরা।