
বেলা গড়ালেই ভোল বদলে যাবে আবহাওয়ার। তীব্র গরম থেকে রেহাই মিলবে।কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। এপ্রিলের শেষে হাঁসফাঁস গরম থেকে মিলবে রেহাই। যদিও এই দুর্যোগেই ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে রাজ্যের আবহাওয়ায় বড় বদল দেখা যাবে। বেশিরভাগ জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও রয়েছে। সুতরাং, ভ্যাপসা গরমের পরিস্থিতি থেকে আগামী কিছুদিনের জন্য মুক্তি পেতে চলেছে রাজ্যবাসী।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলাতে। সেগুলি হল, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান। বৃষ্টির পাশাপাশি এই জেলাগুলিতে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। কলকাতা সহ বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড় বাতাস বইতে পারে। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে।

দক্ষিণবঙ্গে আগামী চার দিনে তাপমাত্রা কমবে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে, বেশ কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতাতেও বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হতে পারে। তবে কালবৈশাখী হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত শহরে নেই। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৯ ডিগ্রি রয়েছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫২ থেকে ৯০ শতাংশ।

চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি হলেও গরমের ভাব থাকবে শহরে।
উত্তরবঙ্গেও সোমবার ও মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে সব জেলাতে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে। দার্জিলিং থেকে মালদহ, সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা শুধুমাত্র দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলাতে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হলুদ সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী সাতদিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ ও আগামিকাল সব জেলায় হলুদ সর্তকতা রয়েছে।

আগামী ২ মে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। সেই কারণে রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রার হেরফের দেখা যাবে। পশ্চিমবঙ্গের মতো অন্যান্য একাধিক রাজ্যেও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
