রতন সিনহা, দেশের সময় : বিকেল হতে না হতেই আকাশ ঢাকল কালো মেঘে৷ সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া৷ কলকাতা থেকে বনগাঁ সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অংশে কালবৈশাখীর সঙ্গে শুরু বৃষ্টিও৷
ঝিরঝিরে ফোঁটায় বর্ষা এল বঙ্গে, বিকেলের শহর ভিজে স্নান ৷ কলকাতা শহর আর শহরতলি ভিজল ঝিরঝিরে বৃষ্টির ফোঁটায়। শুক্রবার বিকেলে ঠান্ডা হাওয়া আর বৃষ্টিতেই বর্ষার আগমন সূচিত হল দক্ষিণবঙ্গেও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ওয়েদার আপডেটে আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল কলকাতায় কালবৈশাখীর । আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, আগামী ২-৩ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভবনা জারি করা হয়েছিল কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে আগেই বলা হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে আজ-কালের মধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়বে। বর্ষার স্বাভাবিক আগমনের সময় ১১ জুন। এবছর তার চেয়ে অনেকটাই দেরি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। সঙ্গে গুমোট গরমের অস্বস্তিও কাবু করেছিল শহরবাসীকে। তবে বিকেল গড়াতেই কালো মেঘ আরও ঘন হয়ে ওঠে আকাশে। তারপর ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া।
গত কয়েকদিনে বর্ষার আশায় দিন গুনছিলেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। বৃষ্টি না হওয়ায় গুমোট গরমের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছিল না। প্যাচপ্যাচে ঘামে অস্বস্তি আরও বাড়ছিল। প্রতিদিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসের দিকে চেয়ে বর্ষার অপেক্ষা করছিলেন মানুষ। শুক্রবারের বৃষ্টিতে সেই অপেক্ষার অবসান। ধরে নেওয়াই যায় অবশেষে আষাঢ়ে বর্ষা এল দক্ষিণেও।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি অবশ্য একেবারে উল্টো। সেখানে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা পাহাড়ে এতই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা, তোর্সার মতো নদীগুলি। পাহাড়ে ধস নেমে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন।
অবশ্য বর্ষা দক্ষিণে পা রাখলেও খুব বেশি বৃষ্টি সেখানে হবে না। উত্তরবঙ্গের মতো অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। দক্ষিণে মৌসুমী বায়ু অত্যন্ত দুর্বল বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।