

বঙ্গে বর্ষামঙ্গলের সঠিক সময় জুনের প্রথম সপ্তাহ। আর তার বেশ কিছুদিন আগেই ভারতের দক্ষিণভাগে প্রবেশ করে বর্ষা। সবার আগে মৌসুমী হাওয়ার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয় আন্দামান নিকোবরে। তারপর ধীরে ধীরে তা প্রবেশ করে মূল ভূখণ্ডে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD) জানিয়েছে যে মঙ্গলবার (১৪ মে), দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরের আন্দামান সাগরের কিছু এলাকায় পৌঁছাচ্ছে (IMD Monsoon Predictions 2025)।

আইএমডি জানিয়েছে যে, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ১৩ মে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অংশ, আন্দামান সাগরের দক্ষিণ অংশ, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং উত্তর আন্দামান সাগরের কিছু অংশে অগ্রসর হয়েছে।’ তিনি বলেন, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু সমুদ্রের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আইএমডি জানিয়েছে, “দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ১৩ মে নাগাদ দক্ষিণ আন্দামান সাগর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশ এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করতে পারে। বর্ষা কেরলে পৌঁছালে আইএমডি ভারতে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘোষণা করে। প্রতি বছর বর্ষার স্বাভাবিক সূচনা হয় ১ জুন। আইএমডি জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান সাগরের উপর পশ্চিমা বাতাসের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রাজধানী দিল্লিতে ১৩ মে থেকে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময়ের মধ্যে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। তারপর ১৬ মে বজ্রপাত সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন বলছে , বর্ষার বৃষ্টিপাত কেরলে শুরু হবে ২৭ মে। কেরলে আসলে বর্ষা শুরু হয় প্রতি বছর ১ জুন। তবে এ বছর তার আগেই দুয়ারে দাঁড়াবে বর্ষা। আইএমডির তথ্য অনুসারে, যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী বর্ষা কেরলে পৌঁছায়, তাহলে ২০০৯ সালের পর এই প্রথম এত আগে বর্ষা প্রবেশ করবে। সেবার ২৩ মে শুরু হয়েছিল বর্ষার বৃষ্টি ।
সাধারণত, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ১ জুনের মধ্যে কেরলে প্রবেশ করে এবং ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সমগ্র দেশ জুড়ে বর্ষা পৌঁছে যায়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বরের আশেপাশে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে সরে যেতে শুরু করে বর্ষা । তারপর ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে সরে যায়।
আইএমডি এপ্রিলেই পূর্বাভাস করেছিল, ২০২৫ সালের বর্ষায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ভারতের কৃষিক্ষেত্রের জন্য এই বর্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪২ শতাংশের জীবিকা নির্ভর করে এর উপর। সারা দেশে পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জলাধারগুলি পুনরায় পূরণ করার জন্যও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
