দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী চার দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে কলকাতায়। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় এবং উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের।
স্বস্তির বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাত নেই৷ শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিকে তাপপ্রবাহের পর যে বৃষ্টি হবে, তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।
বৃহস্পতিবার তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে পারে। এদিন কলকাতার তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
এদিকে, এদিন সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি এবং শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ১৬ শতাংশ।
আগামী কয়েকদিন রাজ্যে তীব্র গরম পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কালবৈশাখীরও দেখা মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে কমপক্ষে চারদিন তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বলতে বোঝায় কোনও এলাকার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমপক্ষে ৫ ডিগ্রি যখন বৃদ্ধি পায় এবং ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলে।
সমস্ত জেলাতেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত পাঁচদিন রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। ফলে বাড়বে অস্বস্তি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালে রেকর্ড গরম প্রত্যক্ষ করেছিল রাজ্যবাসী। কলকাতায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। ২০২৩-এও সেদিক থেকে ‘উষ্ণ’। জানা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প অত্যন্ত কম প্রবেশ করছে। এর জন্য স্থলভাগে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত কম। পাশাপাশি চড়া রোদে অস্বস্তি আরও বাড়ছে।
আপাতত শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। কালবৈশাখীরও দেখা পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ গরমের দাবদাহে বাড়বে ভোগান্তি ৷
এই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষ যাতে কোনওভাবেই অসুস্থ না হয়ে পড়েন সেজন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। লু থেকে বাঁচতে বেশ কিছু সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ আবহাওয়া দফতরের। কৃষিকাজ ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে মানা আবহাওয়াবিদদের। বেশিক্ষণ রোদে না থাকার পরামর্শ। সুতির জামাকাপড় পরার পাশাপাশি তেল-মশলা জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা, ফল খাওয়া, ছাতা নিয়ে বাইরে বার হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। বেশি করে জল খাওয়ার অনুরোধ আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীদের।