দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: পূর্বাভাস সত্যি করে মঙ্গলবার রাত থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় হয়েছে বৃষ্টি। কোথাও আবার তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে রয়েছে মেঘলা আকাশ।
এ দিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আগেই শীতে কোপ পড়েছে। জানুয়ারি শেষ হতে না হতেই ঠান্ডাও যেন ‘পালাই-পালাই’ বলছে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠে গেল ২০.২ ডিগ্রিতে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৯ ডিগ্রিতে উঠে যায়।আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি। আগামী ৫ দিনে ঠান্ডা ফেরার আশা নেই বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বৃষ্টি চলতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকটি এলাকায় বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান জেলায়।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির জন্য হাওয়া অফিস হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়া দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া জেলায় শুক্রবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার পাশাপাশি হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ জেলা। এদিকে, উত্তরবঙ্গে আগামী শনিবার অবধি রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়।
আলিপুর ২০.২ মেদিনীপুর ১৯.৫ দিঘা ১৯.০ দমদম ১৮.৬ শ্রীনিকেতন ১৪.০ বাঁকুড়া ১২.৬
শুক্র ও শনিবার তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং জেলার একাংশে।
এদিকে, বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.২ সেলসিয়াস। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। বৃষ্টির পর আর জাঁকিয়ে শীত পড়বে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এ দিকে, মাঘ মাসের এই অকাল বৃষ্টিতে সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। আলু চাষেও পড়তে পারে প্রভাব। যার জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কৃষকরা।