দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শীতের লম্বা ইনিংসকে আপাতত রুখে দিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলা। যার জেরে ক্রমেই বাড়ছে তাপমাত্রা।
কাল, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা টানা কয়েকদিন চলতে পারে। বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রাও। একই ছবি উত্তরবঙ্গেও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক প্রকৃতির থাকার কথা। কুয়াশা থাকতে পারে।
তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, ২৮-২৯ ডিসেম্বর বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে বাতাসের গতিপথের কিছুটা পরিবর্তন এবং সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া। এই দুই মিলিয়ে এই বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এর প্রভাব বেশি পশ্চিমের জেলাগুলোতে। ২৮ তারিখে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২৮-২৯ তারিখ বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। সেখানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২৯ তারিখে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, হুগলিতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
রাতের তাপমাত্রা দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে বেশি। তা আরও বাড়তে পারে। এবং আগামী দিন কয়েক সেটাই থাকবে।
কলকাতায় আগামী ৪-৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। হালকা মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশা থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়বে। এবং তা থাকবে আগামী কয়েকদিন।
বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮-২৯ ডিসেম্বর সেখানকার সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর প্রভাব বেশি। ৩০ দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিত আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৪ শতাংশ।
শনিবারই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, সোমবার থেকেই আকাশ মেঘলা থাকবে। বিহারের ঘূর্ণাবর্ত এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝর প্রভাবে সমুদ্র থেকে রাজ্যে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছিলেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রভাবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাপমাত্রা দু’এক ডিগ্রি বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছিল হাওয়া অফিস।