দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পুজোয় কি বৃষ্টি হবে? হলেও কবে থেকে? এই প্রশ্নের জবাব মোটমুটি ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷
হাওয়া অফিস বলছে, ১-২ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে থেকে বিদায় নেবে বর্ষা। তবে আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পৌঁছবে।
চতুর্থীতে ক্ষণিকের বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর, পঞ্চমীর সকাল থেকেও আকাশের মুখ ভার। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে রবিবার থেকেই উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ, যা পুজোয় ভোগাবে বাঙালিকে। অষ্টমী থেকেই শুরু হয়ে যাবে বৃষ্টি, পুজোর আনন্দ মাটি করে দিতে যার জুড়ি নেই।
পঞ্চমীর সকাল থেকে যেভাবে আকাশে মেঘ করেছে তাতে ষষ্ঠী সপ্তমীতেও বৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। পুজোয় হয়তো বাড়ি থেকেই বেরোতে পারবেন না কেউ, আশঙ্কা তেমনটাই। ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু এলাকায় রবিবার সকালে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও চলছে বৃষ্টি, কোথায় ঝিরিঝিরে, কোথাও বা ঝমঝমিয়ে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েই দিয়েছে অষ্টমী নবমী দশমী কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর মাঝে অন্তত ষষ্ঠী সপ্তমী আনন্দ করে নেবেন, ভেবেছিলেন মানুষ। তবে আকাশের যা রূপ দেখা যাচ্ছে, তাতে পুজোর এই প্রথম দু’দিন নিয়েও সংশয় দানা বাঁধছে।
মহালয়ার পর থেকেই বর্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে শুরু করেছে। উত্তর পশ্চিম ভারতের কিছু অংশ থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমী বায়ু। তবে গাঙ্গেয় বাংলায় এখনও তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এবছর বর্ষার শুরু থেকেই দাপিয়ে ব্যাটিং করেছে বৃষ্টি। বাঙালির সাধের পুজোতেও তা থাবা বসাতে ছাড়ল না।
এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি এবং শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি।