
বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের করনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আদৃত সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬।
আদৃতর কথায়, “মেধা তালিকায় ঠাঁই পাব এমনটা আশা ছিল, তবে প্রথম হব ভাবিনি।”
আদৃতর কথায়, “সারা বছর একটা নির্দিষ্ট রুটিন মেনে পড়াশোনা করলে পরীক্ষার সময় চাপ হয় না। তাই সারাবছরই রুটিন ধরে পড়াশোনা করতাম।”
একই সঙ্গে তাঁর মতে, শুধু সিলেবাস ধরে পড়াশোনা করলেই হবে না, পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়তে হবে। এতে আমি অনেক সাহায্যও পেয়েছি।”

প্রতিবছরই ভাল ফল করে রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল। তবে সবাইকে টপকে আদৃত রাজ্যে প্রথম হওয়ায় খুশি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারাও। তাঁদের কথায়, আদৃতর এই সাফল্য স্কুলের অন্য পডুয়াদেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আর আদৃত জানায়, স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য এবং গাইডেন্স তাঁকে এত ভাল ফল করতে সাহায্য করেছে। আদৃতর প্রিয় বিষয়, বায়োলজি। পড়াশোনার বাইরে গল্পের বই পড়তে ভালবাসে সে।

২০২৫-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে বৃহস্পতিবার। ৬৯ দিনের মাথায় এবার ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। তার পর যথাক্রমে কালিম্পং, কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সমস্ত পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন! আগামী দিনে তোমরা আরও সফল হবে- এই প্রত্যাশা আমি রাখি।”

https://x.com/MamataOfficial/status/1918179137690440124?t=qv1exDII-i0t60dbcBPctQ&s=19
তিনি আরও লেখেন, “তোমাদের জীবনের এই স্মরণীয় দিনে, আমি তোমাদের বাবা-মা, অভিভাবক-অভিভাবিকা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁদের সমর্থন ও পথনির্দেশই তোমাদের এই সাফল্যকে সম্ভব করে তুলেছে। যারা আজ ভাল ফল করতে পারোনি তাদের বলব: হতাশ হয়ো না। চেষ্টা করো। আগামী দিনে সাফল্য আসবেই। তোমাদের সকলকে আরও একবার আমার প্রাণভরা আশীর্বাদ ও শুভকামনা জানাই। ভাল থেকো সকলে।”
বস্তুত, চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে রেগুলার পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের আদৃত সরকার। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬, শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪৬ শতাংশ। যুগ্ম দ্বিতীয় অনুপম বিশ্বাস এবং সৌম্য পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। তৃতীয় হয়েছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর সরোজ বাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ঈশানী চক্রবর্তী। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।
এ বছর মাধ্যমিকে পাশ করেছে ৮৬.৫৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় সামান্য বেশি। গত বছর পাশের হার ছিল ৮৬.৩১ শতাংশ। পাশের হারে জেলার হিসেবে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এরপর রয়েছে কালিম্পং, কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর। এবার পরীক্ষা দিয়েছেন ৯,৬৯,৪২৫ জন। গত বছরের তুলনায় এবছর ৬২ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক দিয়েছে।
